Pages

দ্রুত বীর্য পাত


প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশনের সহজ বাংলা হলো দ্রুত বীর্যপাত হওয়া। মাঝে মাঝে অনেক পুরুষ যৌনমিলনের সময় তাদের নিজেদের অথবা তাদের যৌনসঙ্গিনীর চাহিদার তুলনায় দ্রুত বীর্যপাত করে ফেলেন। যদি এটা কদাচিৎ ঘটে তাহলে তেমন সতর্ক হওয়ার কারণ নেই। কিন্তু যদি নিয়মিতভাবে আপনার ও আপনার সঙ্গিনীর ইচ্ছার চেয়ে আপনার দ্রুত বীর্যপাত ঘটে অর্থাৎ যৌনসঙ্গম শুরু করার আগেই কিংবা যৌনসঙ্গম শুরু করার একটু পরে আপনার বীর্যপাত ঘটে যায় তাহলে বুঝতে হবে আপনার যে সমস্যাটি হচ্ছে তার নাম প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন একটি সাধারণ যৌনগত সমস্যা। পরিসংখ্যানে ভিন্নতা রয়েছে। তবে কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, প্রতি তিনজন পুরুষের মধ্যে একজন এ সমস্যায় আক্রান্ত হন। যদিও এটি একটি সাধারণ সমস্যা যার চিকিৎসা রয়েছে কিন্তু অনেক পুরুষ এ বিষয়ে তাদের চিকিৎসকের সাথে কথা বলতে কিংবা চিকিৎসা নিতে সঙ্কোচ বোধ করেন।

এক সময়ে ধারণা করা হতো, প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন বা দ্রুত বীর্যপাতের কারণ হলো সম্পূর্ণ মানসিক কিন্তু বর্তমানে বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, দ্রুত বীর্যপাতের ক্ষেত্রে জীববিজ্ঞান সংক্রান্ত বিষয়গুলো একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিছু পুরুষের ক্ষেত্রে দ্রুত বীর্যপাতের সাথে পুরুষত্বহীনতার সম্পর্ক রয়েছে।

আপনি আর দ্রুত বীর্যপাত সমস্যা নিয়ে জীবন কাটাবেন না বর্তমানে অনেক চিকিৎসা বেরিয়েছে যেমন বিভিন্ন ওষুধ, মনস্তাত্ত্বিক কাউন্সিলিং এবং বিভিন্ন যৌনপদ্ধতির শিক্ষা। এগুলো আপনার বীর্যপাতকে বিলম্ব করে আপনার ও আপনার সঙ্গিনীর যৌনজীবনকে মধুর করে তুলবে। অনেক পুরুষের ক্ষেত্রে সমন্বিত চিকিৎসা খুব ভালো কাজ করে।

উপসর্গ
একজন পুরুষ বীর্যপাত করতে কতটা সময় নেবেন সে ব্যাপারে চিকিৎসা বিজ্ঞানে কোনো আদর্শ মাপ নেই। দ্রুত বীর্যপাতের প্রাথমিক লক্ষণ হলো নারী-পুরুষ উভয়ের পুলক লাভের আগেই পুরুষটির বীর্যপাত ঘটে যাওয়া। এ সমস্যা সব ধরনের যৌনতার ক্ষেত্রে ঘটতে পারে। এমনকি হস্তমৈথুনের সময়ও কিংবা শুধু অন্যের সাথে যৌনমিলনের সময়।

প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশনকে সাধারণত দু’ভাগে ভাগ করা হয়ঃ

এক. প্রাইমারি প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশনঃ এটা হলো আপনি যৌন সক্রিয় হওয়া মাত্রই বীর্যপাত ঘটে যাওয়া।

দুই. সেকেন্ডারি প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশনঃ এ ক্ষেত্রে আগে আপনার যৌনজীবন তৃপ্তিদায়ক ছিল, কিন্তু বর্তমানে দ্রুত বীর্যপাত ঘটছে।

কারণ
কী কারণে বীর্যপাত হচ্ছে তা নিরূপণ করতে বিশেষজ্ঞরা এখন পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এক সময় ধারণা করা হতো যে এটা সম্পূর্ণ মানসিক ব্যাপার। কিন্তু বর্তমানে আমরা জানি, দ্রুত বীর্যপাত হওয়া একটি জটিল ব্যাপার এবং এর সাথে মানসিক ও জৈবিক দু’টিরই সম্পর্ক রয়েছে।

মানসিক কারণ
কিছু চিকিৎসক বিশ্বাস করেন, প্রাথমিক বয়সে যৌন অভিজ্ঞতা ঘটলে তা এমন একটি ধরনে প্রতিষ্ঠিত হয় যে, পরবর্তী জীবনে সেটা পরিবর্তন করা কঠিন হতে পারে। যেমন­
লোকজনের দৃষ্টি এড়ানোর জন্য তড়িঘড়ি করে চরম পুলকে পৌঁছানোর তাগিদ।
অপরাধ বোধ, যার কারণে যৌনক্রিয়ার সময় হঠাৎ করেই বীর্যপাত ঘটে যায়।
অন্য কিছু বিষয়ও আপনার দ্রুত বীর্যপাত ঘটাতে পারে।

এর মধ্যে রয়েছে­
পুরুষত্বহীনতা
যেসব পুরুষ যৌনমিলনের সময় তাদের লিঙ্গের উত্থান ঠিকমতো হবে কি না তা নিয়ে চিন্তিত থাকেন, কিংবা কতক্ষণ লিঙ্গ উত্থিত অবস্থায় থাকবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন সেসব পুরুষের দ্রুত বীর্যস্থলন ঘটে।

দুশ্চিন্তা
দ্রুত বীর্যপাত হয় এমন অনেক পুরুষের দ্রুত বীর্যপাতের একটি প্রধান কারণ দুশ্চিন্তা। সেটা যৌনকাজ ঠিকমতো সম্পন্ন করতে পারবেন কি না সে বিষয়ে হতে পারে। আবার অন্য কারণেও হতে পারে।

দ্রুত বীর্যপাতের আরেকটি প্রধান কারণ হলো অতিরিক্ত উত্তেজনা।

জৈবিক কারণ
বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, কিছুসংখ্যক জৈবিক বা শারীরিক কারণে দ্রুত বীর্যপাত ঘটতে পারে। এসব কারণের মধ্যে রয়েছে

হরমোনের অস্বাভাবিক মাত্রা
মস্তিষ্কের রাসায়নিক উপাদান বা নিউরোট্রান্সমিটারের অস্বাভাবিক মাত্রা
বীর্যস্খলন ব্যবস্থার অস্বাভাবিক ক্রিয়া
থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা
প্রোস্টেট অথবা মূত্রনালীর প্রদাহ এবং সংক্রমণ
বংশগত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।
খুব কম ক্ষেত্রে নিচের কারণগুলোর জন্য দ্রুত বীর্যপাত ঘটতে পারে
সার্জারি কিংবা আঘাতের কারণে স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হওয়া।

নারকোটিকস বা মাদক কিংবা দুশ্চিন্তার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ ট্রাইফ্লুপেরাজিন প্রত্যাহার করা এবং অন্য মানসিক সমস্যা থাকা।

যদিও অধিকাংশ প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশনের ক্ষেত্রে শারীরিক ও মানসিক দু’টি বিষয়ই দায়ী। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন প্রাথমিকভাবে সবচেয়ে দায়ী হলো শারীরিক কারণ যদি সেটা জীবনভর সমস্যা হয়ে থাকে (প্রাইমারি প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন)।

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়ঃ বিভিন্ন বিষয়ে আপনার দ্রুত বীর্যপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। যেমন­
পুরুষত্বহীনতাঃ যদি আপনার লিঙ্গ ঠিকমতো উত্থিত না হয়, কিংবা মাঝে মাঝে উত্থিত হয় কিংবা উত্থিত হলেও বেশিক্ষণ উত্থিত অবস্থায় না থাকে তাহলে আপনার দ্রুত বীর্যপাত ঘটার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। যৌন সঙ্গমের সময় আপনার লিঙ্গের উত্থান অবস্থা বেশিক্ষণ থাকবে না এমন ভয় আপনার দ্রুত বীর্যপাত ঘটাতে পারে। প্রতি তিনজন পুরুষের মধ্যে একজনের এ ধরনের লিঙ্গোত্থান সম্পর্কিত দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা থাকে।

স্বাস্থ্য সমস্যাঃ যদি আপনার এমন স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকে যার কারণে আপনি যৌন মিলনের সময় উদ্বেগ অনুভব করেন, উদাহরণ স্বরূপ যদি আপনার হৃদরোগ থাকে তাহলে আপনার দ্রুত বীর্যপাতের ঘটনা ঘটতে পারে।

মানসিক চাপঃ আপনার জীবনে আবেগজনিত কিংবা মানসিক চাপ দ্রুত বীর্যস্খলনের ব্যাপারে ভূমিকা রাখে।

ওষুধঃ কিছু ওষুধ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে দ্রুত বীর্যস্খলন ঘটাতে পারে।
কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেনঃ বেশির ভাগ যৌনমিলনের সময় যদি আপনি আপনার ও আপনার সঙ্গিনীর আকাঙ্ক্ষার চেয়ে দ্রুত বীর্যপাত করে ফেলেন তাহলে চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন। আপনার যৌন জীবন মধুর করার জন্য আপনার চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।



পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও রোগ নির্ণয়ঃ চিকিৎসক আপনার বিস্তারিত যৌন ইতিহাস জেনে, তার ওপর ভিত্তি করে দ্রুত বীর্যপাত রোগ নির্ণয় করেন। চিকিৎসক আপনাকে অনেক একান্ত ব্যক্তিগত প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে পারেন এবং আপনার সঙ্গিনীকেও উপস্থিত থাকতে বলতে পারেন। যদিও সেক্স সম্পর্কে খোলাখুলি কথা বলতে আপনাদের দু’জনেরই অস্বস্তিবোধ হতে পারে। তবুও বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে আপনার চিকিৎসক আপনার সমস্যার কারণ নিরূপণ করতে সাহায্য করবেন এবং সবচেয়ে ভালো চিকিৎসাটা দিতে পারবেন।

আপনার চিকিৎসক আপনার স্বাস্থ্যের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চাইতে পারেন। তিনি আপনার সাধারণ শারীরিক পরীক্ষা করতে পারেন।

আপনার চিকিৎসক আপনার কাছে এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইতে পারেনঃ

কত দ্রুত আপনার বীর্যপাত ঘটে?

একজন বিশেষ সঙ্গিনীর বেলায় কি আপনার দ্রুত বীর্যপাত হয়?

আপনি যতবার যৌনমিলন করেন, ততবারই আপনার দ্রুত বীর্যপাত ঘটে?

আপনি কতবার যৌনমিলন করেন?

দ্রুত বীর্যপাত আপনার যৌন আনন্দ লাভে এবং আপনার সার্বিক জীবনে কতটা বিরূপ প্রভাব ফেলে?

আপনার লিঙ্গ উত্থান হতে কি দীর্ঘ সময় উত্থান অবস্থায় থাকতে কি সর্বদা সমস্যা হয়?
আপনি এ সমস্যার জন্য কী কী ওষুধ গ্রহণ করেন?

আপনার দ্রুত বীর্যপাতের কারণ উদঘাটন করতে আপনার কিছু মানসিক বিষয়ও জানা প্রয়োজন। আপনার চিকিৎসক আপনার নিম্নোক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চাইতে পারেনঃ

আপনার ধর্মীয় শিক্ষাদীক্ষা

আপনার প্রাথমিক যৌন অভিজ্ঞতা

আপনার অতীত ও বর্তমানের যৌন সম্পর্ক

আপনার বর্তমান সম্পর্কের মধ্যে কোনো সংঘর্ষ

যদি আপনার দ্রুত বীর্যপাত ঘটতে থাকে এবং আপনার লিঙ্গোত্থানে সমস্যা হয় তাহলে আপনার চিকিৎসক আপনার পুরুষ হরমোনের মাত্রা (টেসটোসটেরন) দেখার জন্য আপনার রক্ত পরীক্ষাসহ আরো কিছু পরীক্ষা করতে দিতে পারেন।

জটিলতাঃ যদিও দ্রুত বীর্যপাত আপনার মারাত্মক স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের ঝুঁকি বাড়ায় না, কিন্তু এটা আপনার ব্যক্তিগত জীবনে ধস নামাতে পারে। যেমন

সম্পর্কে টানাপড়েনঃ দ্রুত বীর্যপাতের সবচেয়ে সাধারণ জটিলতা হলো যৌন সঙ্গিনীর সাথে সম্পর্কের অবনতি। যদি দ্রুত বীর্যপাতের কারণে আপনার সঙ্গিনীর সাথে মনোমালিন্য চলে, আপনি দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। আপনার চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে দ্বৈত থেরাপিও থাকবে।

বন্ধ্যত্ব সমস্যাঃ দ্রুত বীর্যপাত মাঝে মাঝে আপনার বন্ধ্যত্ব ঘটাতে পারে।
যেসব দম্পতি সন্তান নেয়ার চেষ্টা করছেন সেটা অসম্ভব হতে পারে। যদি দ্রুত বীর্যপাতের ঠিকমতো চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে আপনার ও আপনার সঙ্গিনীর দু’জনেরই বন্ধ্যত্বের চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।


ডা. মিজানুর রহমান কল্লোল
জেনারেল ও ল্যাপারোস্কপিক সার্জন। চেম্বারঃ কমপ্যাথ লিমিটেড, ১৩৬ এলিফ্যান্ট রোড (বাটা সিগনাল ও হাতিরপুল বাজারের সংযোগ সড়কের মাঝামাঝি), ঢাকা।

কিভাবে কিশোরীর স্তন বিশাল বড় হয়

অনেক সময় কিশোরী বয়সে অর্থাৎ মেয়েদের বয়োসন্ধির সময় স্তন বিশাল বড় হয়ে যেতে দেখা যায়। অনেক মেয়ে প্রথম গর্ভধারনের সময় ও এমন সমস্যায় পরতে পারে। বয়োসন্ধির সময় ইস্ট্রোজেন  হরমোনের প্রভাবে মেয়েদের স্তন এর স্বাভাবিক পূর্ণতাপ্রাপ্তি ও বৃদ্ধি শুরু হয়। কোনো মেয়ের যদি এই ইস্ট্রোজেন এর প্রতি অস্বাভাবিক স্পর্শকাতরতা  থাকে তাহলে স্তনের এমন অস্বাভাবিক ও অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি শুরু হয়। এমনটি হলে স্তন এতো বড় হয়ে যায় যে বসা অবস্থায় দুই পাশের স্তনই মেয়েটির হাটু পর্যন্ত এসে পৌছতে পারে। প্রায় সব ক্ষেত্রেই দুই পাশের স্তন এই সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকে। এই সমস্যাটি অস্বস্তিকর এবং অনেক সময় তা দৃষ্টিকটু হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাই এর চিকিৎসা করানোর প্রয়োজন আছে। অনেক সময় ইস্ট্রোজেন বিরোধী অসুধ ব্যবহার করে এই সমস্যায় ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এতে যদি স্তন ছোটো হয়ে না আসে তা হলে রিডাকশন ম্যামোপ্লাস্টি  নামক অপারেশন করিয়েই এর স্থায়ী চিকিৎসা করাতে হবে।

যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধির ১০টি টিপস

যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধির সফল ১০টি টিপস
প্রতিদিন একইভাবে যৌন মিলনেও অনেক সময় যৌন মিলনেও অনেক সময় যৌন উত্তেজনা হ্রাসের ব্যাপারে ভূমিকা রাখতে পারে। এখানে কয়েকটি টিপসের আলোচনা করা হবে যাতে করে উত্তেজনা বৃদ্ধিতে আপনি কিছুটা হলেও ফলপ্রসূ হন।

নারী উপরে

এই অবস্থায় পুরুষের লিঙ্গ নারীর যোি তে ৪৫ ডিগ্রি এ্যাঙ্গেলে প্রবেশ করাবে নারী এবং নারী পুরুষের অনুত্থিত লিঙ্গকে হাত দিয়ে নাড়াচাড়া করে একে সুদৃঢ় করে তুলবে। সে তার স্তন, ভগাঙ্কুর এবং পশ্চাৎপ্রদেশের ব্যবহারে পুরুষকে উত্তেজিত করে তুলবে। এতে করেও যদি পুরুষাঙ্গ উত্থিত না হয় তবে একইভাবে পুনর্বার দেখা যেতে পারে।

জি-স্পট সেক্স

এতে করে নারী দু হাঁটু গেড়ে অনেকটা কুকুরের মতো বসবে। পুরুষ তার লিঙ্গ প্রবেশ করাবে। নারীর সবচেয়ে যৌন অঞ্চল মানে হলো ভগাঙ্কুর। পুরুষের লিঙ্গ একবার এতে ছোঁয়ালেই নারীর যৌনানুভূতি প্রবল হয়। এতে করে পুরুষেরও যৌন অনুভতি দৃঘ হবার কথা। নারী পুরুসকে এই ভাবেও উত্তেজিত করতে পারে। যৌন বিজ্ঞানীরা একে জি-স্পট সেক্স বলে। কেননা এতে করে নারী ইংরেজী জি অক্ষরের মতো আসন নিয়ে বসে।

পৌনপুনিকতা

পুরুষ তার উত্তেজনা বাড়াতে নারীর যোনিমুখে তার লিঙ্গকে প্রবেশ করানোর পূর্বে নারীর নিচের দিককার অর্থাৎ ভগাঙ্কুর, যোনি ইত্যাদিতে হাতের স্পর্শ বা মুখের স্পর্শ ঘটাতে পারে। এতে করে পুরুষের যৌন উত্তেজনা বেড়ে যেতে পারে।

আধুনিক হট স্পট

যৌন বিজ্ঞান দেখেছে, নারীর পুরো শরীরই যৌন উত্তেজক। বিশেষ করে পেটের এবং তলপেটের নিচের দিকে ভগাঙ্কুরের মাঝামাঝি স্থানে নারী উত্তেজনা মারাত্মকভাবে লুকিয়ে থাকে। তবে বিভিন্ন নারীদের বিভিন্ন রকম হতে পারে। পুরুষদের তাদের নারীদের সাথে যৌন মিলনে যাবার সময় এটি বেছে নিতে হবে। এতে করে পুরুষদের উত্তেজনা চূড়ান্ত হবার আশঙ্কা থাকে।

পুরো শরীর

জিহ্বা এবং হাতের আঙ্গুল যৌন উত্তেজনা বাড়াতে পারে। নারীর যোনিমুখের পাতলা আবরণ এবং ক্লাইটোরিস বা ভগাঙ্কুর যদি পুরুষ তার জিহ্বা দিয়ে নাড়াচাড়া করে তবে নারীর অনুভূতি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যায়। এছাড়াও ভালভাবে নখ ছেঁটে পুরুষ তার হাতের আঙ্গুল নারীর যোনিতে প্রবেশ করিয়েও তাকে তীব্র যৌনকাতর করে ফেলতে পারে। এতে করে নারীর উত্তেজনা পুরো শরীরে প্রবেশ করে এবং উত্তেজনার রেশ বাড়তে থাকে।

নারীর অধিগ্রহণ

পুরুষের মুখের কাছে নারী তার যৌনাঞ্চলগুলো স্পর্শ, ঘ্রাণ দিয়ে যাবে। অনেক সময় নারীর যৌন অঞ্চলের ঘ্রানে পুরুষের উত্তেজনা দ্বিগুণ হয়। এতে করে পুরুষ বেশি উত্তেজিত হয়ে উঠবে। একে নারীর অধিগ্রহণ বলা হয়।

মৌখিক তীব্রতা

সাধারণভাবে এটা ওরাল সেক্স। নারী পুরুষের লিঙ্গ, লিঙ্গদেশ এবং লিঙ্গমুন্ডের অগ্রভাগে চুমু দিয়ে, অথবা মুখের লালা দিয়ে ভিজিয়ে পুরুষকে চূড়ান্ত উত্তেজনা দিতে পারে। আবার নারী পুরুষের লিঙ্গকে মুখের ভেতর বার বার প্রবেশ এবং বের করতে পারে। এতে করেও পুরুষের উত্তেজনা আসবে এবং যৌন শীতলতা কমে যাবে।

মুখোমুখি

নারীকে শুয়ে পুরুষ কিংবা পুরুষকে শুইয়ে নারী পরস্পর পরস্পরের দিকে যৌনতার দৃষ্টিতে চেয়ে থাকলে নারী-পুরুষ উভয়ের উত্তেজনা বেড়ে যায়।

পুরুষের অন্ডকোষ

অনেক পুরুষ এই ব্যাপারটিতে অজ্ঞ। তাদের অন্ডকোষের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু যৌনতা লুকানো থাকে। নারী যখন পুরুষের অন্ডকোষে হাত দেয় কিংবা তাতে মৃদু চাপ সৃষ্টি করে, তখনও পুরুষ বিশেষ এক ধরনের আনন্দ পেতে পারে। পুরুষের অন্ডকোষ যৌনতা সৃষ্টি করতে পারে। নারীর মৃদু হাত বোলানোতেও এই উত্তেজনা দ্বিগুণ হয়।

ত্বকের উত্তেজনা

বহু পুরুষের যৌনাঞ্চলের ত্বকেই বিশেষ ধরনের উত্তেজনা থাকে । নারীর স্পর্শে সেটা বেড়ে যায়। যেমন-পুরুষের লিঙ্গের ত্বকে নারীর চুমু দেয়া কিংবা চুষে ফেলাতে পুরুষ যৌন উত্তেজনায় অস্থির হয়ে উঠতে পারে। এটি পুরুষের চরম উত্তেজনার প্রথম স্তর। নারী তাকে চূড়ান্ত উত্তেজনার জন্য তার লিঙ্গমুন্ডকে বার বার চুষতে পারে, এতে করে পুরুষের অবস্থা অধিক কাতর হয়ে উঠবে। তবে নারীকে লক্ষ্য রাখতে হবে, যেন তার দাঁত পুরুষের লিঙ্গে ক্ষতের সৃষ্টি না করে। কেন না চরম অবস্থায় উভয়েই বোধজ্ঞান কিছুটা হারিয়ে ফেলতে পারে।

যৌন সমস্যার ডাক্তারি সমাধান

জিজ্ঞাসা- ১সেক্স করতে পেনিস ভ্যাজাইনার কোথায় ঢোকাতে হবে? উপরে নিচে না মাঝ বরাবর? সমাধানঃ নিচ বরাবর জিজ্ঞাসা- ৩ ‍প্রথমবার সেক্স করার সময় কি কি সমস্যা হবে? সমাধানঃ প্রথমবার সেক্স করার সময় মেয়েটির রক্তক্ষরণ শুরু হয়। অনেকেই এতে ভয় পেয়ে যায়। ভয় পাবার কিছু নেই। যেহেতু প্রথম সেক্সের সময় সতিচ্ছেদ পর্দাটি ছিড়ে যায় (যেখানে রক্তনালী থাকে) তাই রক্তক্ষরণ একটি স্বাভাবিক বিষয়। তবে কারো রক্তক্ষরণ নাও হতে পারে, সেটাও স্বাভাবিক। জিজ্ঞাসা- ৪ ‍ঃ সতিচ্ছেদ পর্দা দেখে কি আমি প্রমাণ করতে পারবো কোনো মেয়ে ভার্জিন কি না? সমাধানঃ না পারবেন না। বয়স বাড়ান সাথে সাথে সতিচ্ছেদ পাতলা হয়ে আপনা আপনি ই ছিড়ে যায়। তাছাড়া যেসব মেয়ে দৌড়-লাফ বা অন্যন্য কসরত বেশী করে তাদের সতিচ্ছেদ ছিড়ে যায়। কোরো সতিচ্ছেদ ছেড়া পাওয়া গেলে কোনোভাবেই এটা প্রামাণিত হবে না সে ভার্জিন নয়। বিভিন্নরকম সতিচ্ছেদের ছবি দেখুন ‍নিচে- জিজ্ঞাসা- ৫ ‍ঃ প্রথম সেক্সে কোনো মেয়ে কি ব্যাথা পায়? সমাধানঃ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পায়। তবে খুব বেশী উত্তেজিত থাকলে এবং প্রচুর মিউকাস ক্ষরণ হলে ব্যাথা পায় না। সেজন্য উচিত ভালোমতো উত্তেজিত করার পর সেক্স করা। জিজ্ঞাসা- ৬ ‍ঃ যদি ভুল করে কারো সাথে অনিরাপদ সেক্স করে ফেলি এবং গর্ভবতী হবার আশংকা থাকে তাহলে মেয়েটি কি ফেমিকন পিল খাবে? সমাধানঃ প্রথমত, ধর্মীয় বিধান মেনে চলুন। বিয়ে বহির্ভূত সেক্সে কোনোভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়। তবে কেউ যদি ভুল করেই বসে প্রচলিত জন্মনিরোধক পিল (ফেমিকন জাতীয়) কোনো কাজেই আসবেনা। কেননা এগুলো খেতে হয় 1 মাস আগ থেকেই। সেক্ষেত্রে 72 ঘন্টার মধ্যে “ইমার্জেন্সি পিল” খেতে হবে জিজ্ঞাসা- ৭ ‍ঃ ডেন্জার প্রিয়ড কি? সমাধানঃ যেসময়ে সেক্স করলে মেয়েটি গর্ভবতী হবার সম্ভাবনা বেশী তাকে ডেন্জার প্রিয়ড বলে। মিন্সট্রুয়েশন (মাসিক) শেষ হবার 10ম দিন থেকে 20তম দিন পর্যন্ত চান্স বেশী থাকে। অন্য সময়গুলোতেও গর্ভধারণ হবেনা এটা নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না। জিজ্ঞাসা- ৮ ‍ঃ মেয়েরা কি মাস্টারবেশন করে? সমাধানঃ আমেরিকান জরীপ মতে 92 ভাগ ছেলে ও 62 ভাগ মেয়ে মাস্টারবেশন করে। (রেফারেন্স এখানে ) জিজ্ঞাসা- ৯ ‍ঃ মেয়েরা কিভাবে মাস্টারবেশন করে? সমাধানঃ ক্লাইটোরিয়াস কে নাড়াচাড়া করার মাধ্যমে অথবা ভাইব্রেটর মেশিন দিয়ে ক্লাইটোরিয়াসকে ভাইব্রেশন দেবার মাধ্যমে তারা অর্গাজম (যৌনতৃপ্তি) পেতে পারে। জিজ্ঞাসা- ১০ ‍ঃ সেক্স না করেও কোনো মেয়েকে কি তৃপ্তি দানকরা সম্ভব? সমাধানঃ হ্যা সম্ভব। ক্লাইটোরিয়াস এ নাড়াচাড়া করে তাদের তৃপ্তি দেয়া সম্ভব। জিজ্ঞাসা- ১১ ‍ঃ 18 বছরের নিচে কি সেক্স করা উচিত? সমাধানঃ না উচিত নয়। শারীরিক ভাবে যথেষ্ট সম্পূর্ণতা তাদের থাকে না। জিজ্ঞাসা- ১২ ‍ঃসিফিলিস, গনোরিয়া, ধবজভংগ কি? সমাধানঃ সিফিসিল ও গনোরিয়া ব্যাকটেরিয়া ঘটিত মারাত্মক প্রাণঘাতক রোগ যাতে শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্মক ক্ষতের সৃষ্টি হয়। অনিরাপদ সেক্সের মাধ্যমে রোগের বাহক থেকে অগর সঙ্গীর কাছে এটা ট্রান্সমিট হয়। ধ্বজভংগ একটি অ্যাবনরমালিটি যেখানে রোগী উত্তেজিত হলেই বীর্জপাত ঘটে/যৌনতৃপ্তি লাভ করে। ফলে সে সেক্স করার আগেই তৃপ্তি পেয়ে যায় এবং সেক্স করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে