Pages

যৌন উত্তেজনার ধারা

নারী পুরুষের যৌন উত্তেজনার ধারা পৃথিবীব্যাপী একই রকম। অর্থাৎ পৃথিবীর যে কোনো দেশে নারী পুরুষ একই রকমভাবে যৌন উত্তেজিত হয় এবং যৌনমিলনে অংশগ্রহণ করে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আলোচনা যৌনতার ব্যাপারটি উল্লেখ হয়ে থাকে। পৃথিবীব্যাপী যৌনতার উপর গবেষণা এবং আলোচনা হয় ব্যাপকভাবে । আমেরিকান বিখ্যাত কিনসে ইনস্টিটিউট নারী পুরুষের যৌনতার বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে। যৌনতা হলো নারী পুরুষের দৈহিক মিলন প্রাণিজগতের অন্যান্য প্রাণীর মতো নারী পুরুষের যৌনতা বাহ্যিকভাবে প্রকাশ্য নয়। বরং নারী পুরুষের যৌনমিলন এবং যৌনতা সংঘটিত হয় সুস্থ সুন্দর পরিবেশে। পৃথিবীর আদি থেকে চলে আসা একটি সংস্কৃতি হলো যৌন সংস্কৃতি। এই যৌন সংস্কৃতি প্রতিটি পুরুষ এবং নারীর জীবনের খুব আদৃত একটি অংশ। নারীর সাথে পুরুষের দৈহিক মিলনের সময় নারী উত্তেজিত হয় এবং পাশপাশি পুরুষের ও যৌন উত্তেজনা আসে। পুরুষের স্পর্শের প্রথম থেকেই নারীর ভেতরে যৌন উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। নারীর শরীর কেপে উঠতে পারে যা খুব সামান্য সময় ধরে অনুভূত হয়। যৌনমিলনের সময় নারীর দেহ এবং পুরুষের দেহের প্রধান যে পরিবর্তন হয় তাহলো উভয়েরই শারীরিক চাপ বৃদ্ধি পায়, রক্তের চাপ বাড়ে, শ্বাস প্রশ্বাস দ্রুত হয় এবং উভয়েই চূড়ান্ত আনন্দের জন্যে অস্থির হয়ে উঠে । নারীর যৌন জীবন পুরুষের চেয়ে অপোকৃত । নারীর যৌনতার সংস্কৃতিতে বোধ করি পুরুষের চেয়ে আলাদা। নারীর যৌন আগ্রহ, ইচ্ছা যৌনতার চরম আনন্দ ইত্যাদি প্রতিটি পর্বে পুরুষের চেয়ে স্বতন্ত্র অবস্থার সৃষ্টি করে। যৌন উত্তেজনার সময় অন্যান্য যে পরিবর্তনগুলো লণীয় হয় সেগুলো হলো।

স্তনবৃন্তের ফুলে উঠা।
স্তনের আকার বড় হয়ে যাওয়া।
শরীরে যৌন ঝলকের উপস্থিতি।
নারীর ক্ষেত্রে কিটোরিসের রঙের পরিবর্তন।
পুরুষের ক্ষেত্রে লিঙ্গের মাথার রঙের পরিবর্তন।

প্রথম যুগের মানুষের যৌনতার্ ছিল কেবল মাত্র ক্ষণিক আনন্দের একটি উৎস। পরবর্তী সময়ে যৌনতার ব্যবহারিক পরিবর্তন দেখা দেয়। এক সময়ে এক নারী একই সাথে একই পরিবারের সবার সাথে যৌনমিলনে রত হতে পারতো। এটি ছিল যৌনতার সংস্কৃতি। তখন কার সমসাময়িক যৌন সংস্কৃতি ছিল এই রকম। যুগে যুগে যৌন সংস্কৃতি পরিবর্তিত হয়েছে। আবার যৌতার ব্যাপারে ধর্মীয় নানা মতবাদের প্রভাবে যৌনতার বিষয়টি একেক সমাজে একেক ভাবে অনুশীলন করা হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে এই নতুন যুগে যৌনতার ব্যাপারটি নানা দিক থেকে আধুনিক হয়ে উঠেছে বর্তমান সময়ে যৌনাসনের পাশাপাশি যৌন ক্রীড়াতে নানা পরিবর্তন ছন্দ দেখা যায়। নারী, পুরুষের ক্ষেত্রে যৌনতার আবহ একেক না্‌রী পুরুষের ক্ষেত্রে একেক রকম । যখন কোনো প্রেমিকের সাথে যৌনমিলন বা ডেটিং করে তখন যৌতার ব্যাপাটি যে ভাবে হতে পারে ঠিক সেভাবে স্বামী-স্ত্রীর যৌনতার ব্যাপাটি সংঘটিত হয় না। একই নারী যখন বহু পুরুষের সাথে যৌনমিলন বা যৌন সর্ম্পক স্থাপন করে, তখন ও আবার যৌনতার সংস্কৃতি ভিন্ন হয়। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নারী পুরুষের ক্ষেত্রে যৌনতার ব্যাপাটি সব সময় একই ধারায় এগিয়ে চলে না । যৌনমিলনের ব্যাপারে বা যৌনতার ব্যাপারে সব নারীরেই ইচ্ছা একই রকম হয় না। এটিও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। কোনো কোনো নারী অত্যাধিক যৌনকাতর । আবার কোনো কোনো পুরুষের যৌন ইচ্ছা থাকে বেশি অর্থাৎ যৌনতার ব্যাপারে তাদের আগ্রহ এবং যৌন মিলনের ইচ্ছা থাকে ব্যাপক। আবার কোনো কোনো নারী-পুরুষ সুস্থ যৌনতার পপাতি এবং তারা প্রয়োজন মাফিক যৌনমিলন পছন্দ করে। আবার কিছু কিছু নারী-পুরুষ যৌনতাকে খুবই কম মাত্রায় পছন্দ করে। অনেকের এ ব্যাপারে ভীতিও থাকে। যৌনতার ব্যাপার বিশেষ করে নারী, পুরুষের যৌনতার ব্যাপারে উৎসাহ এবং আগ্রহ যদি না থাকে তবে চরমপুলক আসতে পারে না। বহু নারী, পুরুষকে এমন অভিযোগ করতে শোনা যায় যে তারা যৌন জীবনে সুখী নয়। মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা গবেষণায় দেখেছেন, যে নারীরা পুরুষ স্বামীর সাথে বা স্ত্রীর সাথে কিংবা যৌন সঙ্গীর সাথে যৌনমিলনের সময় উৎসাহী বা আগ্রহী হয়ে উঠে না, তারা তুলনামূকভাবে কম যৌন আনন্দ লাভ করে। অথচ তারা এই বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারেনা। যৌনতা এবং যৌন সর্ম্পক নারী পুরুষের জীবনের জন্য একটি প্রয়োজনীয় এবং জীবন ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। পুরুষ এবং নারীর যৌনতা সাথে সম্পর্কের ফলে যৌন আনন্দ যেমন লাভ করে তেমনি শিশুর জন্ম দিতে পারে । যৌন সম্পর্ক তৈরীর প্রাথমিক পর্যায়ে অনেকেই বুঝতে পারেন না যৌনমিলনের জন্য প্রয়োজনীয় কি কি বিষয় সম্পর্কে জানা উচিত। মানুষের শরীরের বাহ্যিক ইন্দ্রিয়ের গঠন এবং ভেতরের ঘঠন এক নয়। আবার পুরুষ এবং নারীর শরীরের গঠনে ও কিছুটা পার্থক্য রয়েছে । নারীর শরীর পুরুষের চেয়ে অপোকৃত স্পর্শ কাতর। নারীর কোনো অঙ্গে স্পর্শের ফলে শরীর যৌন অনুভূতি এবং সাড়া জাগাতে পারে পুরুষকে সে বিষয়ে জানতে হবে। তেমনি আবার নারীরও জানা উচিত পুরুষের কোন কোন স্থানে যৌন অনুভূতি ছড়িয়ে রয়েছে। এই ক্ষেত্রে উভইকে অর্থ্যাৎ নারী এবং পুরুষকে উভয়ের দেহ গঠন এবং উভয়ের শরীর সম্পর্কে একটি ধারণা থাকা উচিত। মানুষের যৌন ইচ্ছার বিশ্লেষণ কি? যখন কোনো পুরুষ যৌন চিন্তা বোধ করে তখনই তাদের ভেতর এক ধরণের যৌন অনুভূতি কাজ করতে থাকে। পুরুষের লিঙ্গ দৃঢ় হতে থাকে এবং নারীর যোনি কিছুটা আর্দ্র হতে শুরু করে । যৌন ইচ্ছার জন্য সবচেয়ে বেশি কাজ করে মানুষের মস্তিষ্ক। মস্তিষ্কের লিম্বিক সিস্টেম মানুষের যৌন অনুভূতিকে প্রথম জাগিয়ে তোলে। মস্তিষ্কের সেরেব্রাম অংশে যৌন চিন্তা উদিত হয়। তারপর এই চিন্তার সূত্র ধরে তা তাড়িত হয়ে পুরুষের অথবা নারীর যৌনাঙ্গে অনুর্বর হয়। নানা ধরনের যৌন চিন্তা, যৌন স্মৃতি, যৌন ইচ্ছাকে চাঙ্গা করতে থাকে এবং যৌন অনুভূতি এই সময়ে বেড়ে যেতে থাকে। এই সময়ে পুরুষ ও নারী ইচ্ছার পূর্ণতা খুঁজে পায় এবং যৌনমিলনের আগ্রহী হয়ে উঠে। তবে নানা বিধ শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা পুরুষ কিংবা নারীর ইচ্ছা এবং যৌন শক্তিকে কমিয়ে দিতে পারে। যৌন উত্তেজনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উভয়ের শরীরেই এক প্রকার অস্থিরতা দেখা দেয় যা চরমপুলকের বিষয়টি হলো পুরুষের ক্ষেত্রে বীর্যপাত এবং নারীর ক্ষেত্রে চূড়ান্ত আনন্দ লাভ। পুরুষের লিঙ্গের ণস্থায়ী স্পর্শে নারীর ভেতর যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় তা পুরুষ যেমন উপভোগ করে , নারীও তেমনি উপভোগ করে। অনেক নারীর যৌনান্দ আরো তীব্র হয় কিটোরিসের স্পর্শের দ্বারা। পুরুষ ওরাল সেঙের মাধ্যমে হয়তো এটা করতে পারে। যৌনমিলনের সময় উভয়ের দৈহিক অস্থিরতা যৌন উত্তেজনার প্রধান চিহ্ন।

সূত্রঃ প্রফেসর ডাঃ মোহাম্মদ ফিরোজ

যৌন চাহিদা কম হলে মহিলাদের আবেগ প্রভাবিত হয়

যে সব মহিলাদের মধ্যে যৌন মিলনে অনীহা থাকে তাদের জীবনে নানা সমস্যা তৈরি হয়৷ সম্প্রতি একটি গবেষণাতে এই তথ্য প্রমানিত হয়েছে৷ যে সব মহিলাদের কম পরিমাণে যৌন চাহিদা থাকে তারা মানসিক সমস্যায় ভুগতে পারেন৷ আবার কখনও ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে তারা অহেতুক আবেগ প্রকাশ করে ফেলতে পারেন৷

সম্প্রতি স্টাডি অফ উইম্যানস সেক্সুয়াল হেলথের তত্ত্বাবধানে ইউরোপে এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করা হয়েছিল৷ এতে 5,098 জন মহিলাকে নিয়ে গবেষণা করা হয়েছিল৷ এদের প্রত্যেকেরই যৌন চাহিদা একেবারেই কম রয়েছে৷

বেশীরভাগই যৌন চাহিদা কম থাকায় যৌন মিলনের ক্ষেত্রে সন্তুষ্টি লাভ করেন নি৷ ফলবশত মানসিক সমস্যায় ভুগছেন৷ তাদের বেশীরভাগেরই আচরণ এবং ব্যবহারের মধ্যে এর প্রভাব পড়েছে৷

সূত্রঃ ওয়েবদুনিয়া.কম, 3 মার্চ 2010

যৌন ব্যবহারিক পরিবর্তন

কৈশোরকালীন সময়ে বা বয়ঃপ্রাপ্তির পর ছেলেদের ভেতরে যৌন ব্যবহারিক আচরণগত এবং মনোদৈহিক পরিবর্তন আসতে শুরু করে । এই সময়ে ছেলেদের ভেতর খুব বেশি পরিমাণ বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আর্কষন জন্মায় । যৌনতার ব্যাপারে ছেলেরা উৎসাহি হয়ে উঠে । বিভিন্ন উপায়ে এই সময়ে ছেলেরা যৌন আনন্দ পেতে শুরু করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-

হস্তমৈথুন
সমকামিতা
সঙ্গম বহির্ভূত যৌনতা
যৌনমিলন ইত্যাদি

সূত্রঃ প্রফেসর ডাঃ মোহাম্মদ ফিরোজ

যৌন মিলনে পুরুষদের শুক্রানু বাড়ে

পুরুষরা যদি প্রতিদিন তাদের জীবনসঙ্গীনির সঙ্গে দৈহিক ভাবে মিলিত হন তাহলে তাদের শুক্রানু হ্রাস পাওয়া কমবে৷ কিছুদিন আগেই একটি গবেষণাতে এই তথ্য প্রমানিত হযেছে৷ অস্ট্রেলিয়ার এক বিশেষজ্ঞ 118 জন পুরুষের উপর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালান৷ এরা সকলেই স্বাভাবিকের তুলনায় বেশী পরিমাণে শুক্রানু হ্রাস পাওয়ার সমস্যায় ভুগছিলেন৷

পরীক্ষায় ধরা পড়েছিল এদের সকলেরই ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে 15 থেকে 98 শতাংশ শুক্রানু হ্রাস পেয়েছিল৷ তবে ওষুধ নয়,তাদের নিয়মিতভাবে যৌন মিলনের পরামর্শ দেওয়া হয়৷ এতে এদের মধ্যে চার থেকে পাঁচজন মানুষের প্রত্যেকেরই শুক্রানুর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে৷

সূত্রঃ ওয়েবদুনিয়া.কম
বুধবার, 1 জুলাই 2009

পুরুষরা যদি প্রতিদিন তাদের জীবনসঙ্গীনির সঙ্গে দৈহিক ভাবে মিলিত হন তাহলে তাদের শুক্রানু হ্রাস পাওয়া কমবে৷ কিছুদিন আগেই একটি গবেষণাতে এই তথ্য প্রমানিত হযেছে৷ অস্ট্রেলিয়ার এক বিশেষজ্ঞ 118 জন পুরুষের উপর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালান৷ এরা সকলেই স্বাভাবিকের তুলনায় বেশী পরিমাণে শুক্রানু হ্রাস পাওয়ার সমস্যায় ভুগছিলেন৷
পরীক্ষায় ধরা পড়েছিল এদের সকলেরই ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে 15 থেকে 98 শতাংশ শুক্রানু হ্রাস পেয়েছিল৷ তবে ওষুধ নয়,তাদের নিয়মিতভাবে যৌন মিলনের পরামর্শ দেওয়া হয়৷ এতে এদের মধ্যে চার থেকে পাঁচজন মানুষের প্রত্যেকেরই শুক্রানুর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে৷
সূত্রঃ ওয়েবদুনিয়া.কম
বুধবার, 1 জুলাই 2009
- See more at: http://www.ebanglahealth.com/?p=1714#sthash.a215udzT.dpuf

তবু ব্যায়াম…





মা হওয়ার অনুভূতি অসাধারণ। দেহের ভেতর ছোট্ট যে দেহ, তার জন্য মায়ের যত্নের তাই শেষ নেই। সময়মতো খাওয়া, ঘুমানো আর সারাক্ষণ তার সুস্থতা কামনা করা। অনাগত সন্তানের সুস্থতার জন্য চাই মায়ের সুস্থ শরীর। সুস্থতার প্রশ্নে ব্যায়ামের বিকল্প আর কী আছে? অনাগত সন্তানের মায়ের ব্যায়াম কেন, কখন আর কীভাবে—সব প্রশ্নের উত্তর সাজিয়ে এই আয়োজন।

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুনা সালিমা জাহান গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম করতে উৎসাহিত করেন সব সময়। তিনি জানান, নতুন মায়েদের জন্য ব্যায়াম আরও বেশি প্রয়োজন। গর্ভাবস্থায় কিছু আসন, প্রাণায়াম ও ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ দূরে রাখতে পারে বমি বমি ভাব, গ্যাস্ট্রিক, পা ব্যথা, কোমর ব্যথা ও আবেগীয় চাপকে। এ সময় শরীরে উৎপন্ন হয় রিলাক্সিন হরমোন, যা অস্থিসন্ধিগুলোকে নমনীয় করে তোলে। গর্ভকালীন সময়ে শরীরে বাড়ে অস্বস্তি। তলপেট স্ফীত হয়ে মেরুদণ্ডে চাপ পড়ে, ফলে পিঠে ব্যথা বাড়ে, আর কমতে থাকে রাতের ঘুম। তবে এসব সমস্যায় আরাম পাবেন গর্ভকালীন শরীর ও সময়োপযোগী কিছু ব্যায়াম চালিয়ে গেলে। যাঁরা আগে নিয়মিত ব্যায়াম করতেন, তাঁরা হালকা ব্যায়ামগুলো চালিয়ে যেতে পারেন। প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ মিনিট হাঁটা, অ্যারোবিক্স, হালকা যোগব্যায়াম ও জগিং, সাইক্লিং করতেই পারেন। প্রতিদিন অন্তত ১০ বার যোনিদ্বার ও মলমূত্র ত্যাগের রাস্তা সংকুচিত ও প্রসারিত করার অভ্যাস করা উচিত। এর ফলে জরায়ু ও পায়ুপথের সমস্যা কমবে। নতুন ব্যায়াম করলে প্রতিদিন পাঁচ মিনিট করে শুরু করবেন। তবে এক দিনে কখনোই ৩০ মিনিটের বেশি ব্যায়াম করবেন না। এমন কোনো সময় বা স্থানে ব্যায়াম করবেন না, যখন আপনি ঘেমে অস্থির হবেন। সকালে বা রাতে ঘুমানোর আগে ব্যায়াম করবেন, প্রয়োজনে ফ্যান ছেড়ে নেবেন। স্বাভাবিক ফিটের সুতির পোশাক পরবেন। খুব আঁটসাট পোশাক পরবেন না। ব্যায়ামের আগে এক গ্লাস পানি ও হালকা খাবার খেয়ে নেবেন। তা একটি ফলও হতে পারে। পানিশূন্যতা যেন না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখবেন। হঠাৎ মাথা ঘুরলে, দম বন্ধ ভাব হলে, বুকে বা মাথায় ব্যথা হলে ব্যায়াম করবেন না। বাচ্চার নড়াচড়া কম মনে হলে ব্যায়াম বন্ধ রাখবেন। মনে রাখবেন, এখানে যে ব্যায়ামগুলো দেয়া হল তার মধ্যে ১৬ সপ্তাহের পর চিৎ হয়ে শুয়ে কোনো ব্যায়াম করবেন না। আর নিয়মিত ব্যায়াম শুরুর আগে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
গোল্ডস জিমের প্রশিক্ষক দয়িতা বলেন, ‘প্রথম এক থেকে তিন মাস শুয়ে, তিন থেকে সাত মাস আসন আর সাত মাসের পর থেকে কিছু ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে পারেন। সময় অনুযায়ী কিছু সহজ ব্যায়ামে চোখ বুলিয়ে নিন ঝটপট।’

মনে রাখা জরুরি, কিছু বিশেষ সময়ে ব্যায়াম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ সময়গুলো হলো—
 চিকিৎসকের নিষেধ থাকলে।
 উচ্চ রক্তচাপ থাকলে
 জরায়ুপথে যেকোনো রক্তপাত হলে
 গর্ভাশয় বা ফুল উল্টো থাকলে
 আগে কয়েকবার গর্ভপাত হয়ে থাকলে
 গর্ভে যমজ শিশু থাকলে।

খাদিজা ফাল্গুনী
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, তারিখ: ০৪-০৯-২০১২


গর্ভধারণের জন্য শরীর ও মন কি প্রস্তুত?

গর্ভধারণ একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু এ জন্য চাই মায়ের শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি। আমাদের দেশে বেশির ভাগ গর্ভধারণই অপরিকল্পিত। কিন্তু গর্ভধারণের আগে মায়ের সুস্বাস্থ্য ও প্রস্তুতি নিশ্চিত করা গেলে অনেক জটিলতাই এড়ানো সম্ভব।

গর্ভধারণের জন্য মায়ের বয়স উপযুক্ত কি না, তা আগে ভেবে নিন। ২০ বছরের নিচে এবং ৩৫ বছরের পর—উভয় ক্ষেত্রেই জটিলতার আশঙ্কা বেশি।
আপনার ওজন গর্ভধারণের উপযোগী কি না, দেখে নিন। ওজন কম বা বেশি হলে সঠিক ওজনে আসার চেষ্টা করুন।
পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত কায়িক পরিশ্রমের অভ্যাস গড়ে তুলতে চেষ্টা করুন। মানসিক চাপ এড়িয়ে চলুন। এগুলো আপনার গর্ভকালীন সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য জরুরি।
ধূমপান বা অ্যালকোহল সেবনের অভ্যাস আগেই বাদ দিন।
ইতিপূর্বে জন্মনিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকলে—যেমন: বড়ি, কপার টি বা ইনজেকশন—গর্ভধারণের আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন কীভাবে এগুলো ছাড়বেন।
হেপাটাইটিস-বি বা অন্য কোনো টিকা নেওয়ার ইচ্ছা থাকলে আগেই নিয়ে নিন।
গর্ভধারণের আগে থেকেই ফলিক অ্যাসিড খেতে শুরু করলে বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম অনেকটাই রোধ করা যায়।
আপনি যদি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েড সমস্যা, হাঁপানি বা হূদেরাগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তবে আগে থেকে চিকিৎসকের পরামর্শমতো প্রস্তুত হয়ে নিন। জেনে নিন কোন ওষুধগুলো চালিয়ে যাওয়া যাবে আর কোনগুলো পরিবর্তন করতে হবে।
গর্ভধারণের চেষ্টাকালে যেকোনো ওষুধ খাওয়ার আগে জেনে নিন এটি নিরাপদ কি না এবং যেকোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষার আগে (যেমন: এক্স-রে করার আগে) চিকিৎসককে অবহিত করুন যে আপনি সন্তান নিতে চেষ্টা করছেন।
আগের গর্ভধারণে জটিলতার ইতিহাস থাকলে, গর্ভপাত বা মৃত শিশু প্রসব বা পূর্বের সন্তানের কোনো জন্মগত সমস্যা থাকলে যে কারণে এমনটি হয়েছিল, এর যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন।
রক্তের গ্রুপ জেনে নিন এবং নেগেটিভ হয়ে থাকলে কী জটিলতা হতে পারে বা কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়, জেনে নিন।

ডা. রেহেনা পারভীন
স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, এপ্রিল ১৭, ২০১৩

যৌন মিলনের চারটে গোপণ সূত্র

আপনার পার্টনারের সঙ্গে যৌন মিলনকে মধুর করতে হলে আপনাকে চারটে নিয়ম মেনে চলতে হবে৷ আপনি যদি এই চারটে নিয়মকে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে মেনে পার্টনারের সঙ্গে শারীরিক ভাবে মিলিত হন তাহলে আপনি প্রকৃত অর্থে সহবাসের সুখ লাভ করবেন৷

‘দ্য ফোর সিক্রেটস অফ আমাজিং সেক্স’ এই গ্রন্থে লেখক জর্জিয়া ফস্টার এবং বেভারলি এনি ফস্টার চারটে নিয়মের কথা বলেছেন৷ তাদের মতে যৌন মিলনের আগে শরীরের তুলনায় মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নেওয়াটা জরুরি৷ মানসিক ভাবে আপনি যদি যৌন মিলনের জন্য তৈরি থাকেন তাহলেই আপনি এর চরম সুখ লাভ করতে পারবেন৷ যৌন মিলনের জন্য চারটে গোপণ তথ্যের প্রথমটা হল :

সিডাকশান: বেশীরভাগ মানুষই মনে করে যৌন মিলনের আগে নিজেদের যৌন উত্তেজনা বাড়াতে হবে৷ না সেটা একেবারেই ভুল ধারনা৷ আগে মনে প্রাণে যৌন চেতনা জাগান৷ যৌন মিলনের আগে মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নিন৷ আপনি কখনই ভাববেন না আপনার পার্টনারের যৌন উত্তেজনা নিমেষেই বেড়ে যাবে৷ মানসিক ভাবে অনুভব করার পরেই এটা বাড়ানো সম্ভব৷

সেনসেশান: যৌন মিলনের ক্ষেত্রে সিক্স সেনস একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়৷ সেক্ষেত্রে আপনি এবং আপনার পার্টনার উভয়েরই ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়কে জাগ্রত করতে হবে৷ কারণ যৌন মিলনের সময়ে প্রচুর এনার্জীর প্রয়োজন জয়৷ এনার্জী লাভের জন্য ষষ্ট ইন্দ্রিয়কে জাগানো জরুরি৷

সারেন্ডার: তৃতীয় চাবিকাঠিটা হল নিরাপত্তা৷ যৌন মিলনের সময় আপনি যদি নিশ্চিন্তে আপনার পার্টনারের কাছে নিজেকে সপে দিতে পারেন তাহলেই আপনার যৌন মিলন সফল হবে৷ এর জন্য পার্টনারের কাছে আপনি যে নিরাপদ রয়েছে সেই মানসিক ভাবনাটা থাকা জরুরি৷

রিফ্লেকশান: আপনি যদি প্রথম তিনটে নিয়্ম ভ্রুনাক্ষরে পালন করে তাহলে আপনি আপনার অভিজ্ঞতাতেই এর প্রতিবিম্বটা খুঁজে পাবেন৷ পুণরায় যৌন মিলনের আগ্রহ আপনার মনে জাগবে৷

সূত্রঃ ওয়েবদুনিয়া.কম, 28 ফেব্রুয়ারি 2010

স্তন এবং বুক সুগঠিত করার ব্যায়াম

১. কব্জি, হাত এবং বাহু স্ট্রেচিং

এগুলো শুধু হাতের গঠনই সুন্দর করে না, সারা দেহে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রাও বাড়িয়ে দেয়। এতে হাতের কবজি এবং বাহুও দৃঢ় হবে যা অন্যান্য ব্যায়ামগুলো করতে দরকারী। কব্জিতে শক্তি থাকলে অন্যান্য ব্যায়াম করতেো সুবিধা হবে এবং অযথা ব্যথার হাত থেকে রক্ষা পাবেন।

আঙুল বন্ধ:

এটা কোন যন্ত্রপাতি ছাড়াই করতে পারেন। হাত টান করে তালু মুখের বিপরীতে রেখে আঙুলগুলো উপরে তুলে দিন। এবার অন্য হাতের আঙুল এটার উপর দিয়ে ধীরে ধীরে পিছনের দিকে কিছুক্ষণ টানুন। এক হাত হয়ে গেলে আবার অন্য হাতের বেলায়ও এভাবে করুন। এক এক করে প্রতি হাতের জন্য কমপক্ষে তিনবার করে করুন।

কব্জির মোচড়:

এটা করতে ডামবেল বা বারবেল দরকার হবে। বেঞ্চ বা চেয়ারে ঝুঁকে বসুন। দুইহাত উরুর উপর টান করে দিন। এবার হাতে বারবেল (দুইহাতে) বা ডামবেল (একহাতে) নিয়ে কব্জিতে ধীরে ধীরে উপরের নিচে মোড়চ দিন। ১৫ বার করে ৩ সেট দিন।
হাতের তালু উপরের দিকে বা নিচের দিকে- দুভাবেই করতে পারেন।

হাতের মুঠির ব্যায়াম:

প্লাস্টিকের নরম ছোট এক ধরনের বল পাওয়া যায় যাকে স্ট্রেচ বল বলে। এছাড়া আরো অনেক টুলস আছে। বল হাতের মধ্যে নিয়ে ধীরে ধীরে চাপ দিয়ে ১০ সেকেণ্ড ধরে রাখুন। তারপর ধীরে ধীরে মুঠি খুলুন। এভাবে যতবার পারেন, করবেন।
স্ট্রেচ বল না পেলে টেনিস বল নিয়ে বা খালি হাতেও করতে পারেন।

উপরের ব্যায়ামগুলো যখনই সময় পান, যে অবস্থাতেই থাকেন না কেন- তখনই যতক্ষন ইচ্ছে করতে পারেন।

২. বাটারফ্লাই প্রেশ

এই ব্যায়াম ভালোভাবে করতে গেলে জিমে চেস্ট প্রেশ মেশিন লাগবে। নইলে হালকা ওজনের দুইটা ডামবেল।
মেশিনে সোজা হয়ে বসে দুইহাত দুইদিকের আর্ম রেস্টের উপর রাখতে হবে। নিঃশ্বাস নিন। এবার নিঃশ্বাস ফেলতে ফেলতে দুইহাতে চাপ দিয়ে হাত দুটো বুকের সামনে এনে মিশিয়ে ফেলতে হবে। আবার নিঃশ্বাস নিতে নিতে হাত দুটো আগের অবস্থায় নিয়ে যাবেন। এভাবে ১০-১৫ বার করে ৩ সেট দিবেন। মেশিনে এমন ওজন সেট করবেন যাতে প্রথমে ১৫ বার দিতে কোন সমস্যা না হয়। পরের বার একটু একটু করে ওজন বাড়াবেন। প্রতি সেটের মাঝে ২ মিনিট বিশ্রাম নেবেন।

৩. চেয়ার ডিপ/ বেঞ্চ ডিপ

এটাতে মেশিনের দরকার নাই। শুধু একটা চেয়ার বা বেঞ্চ হলেই হয়।
প্রথমে চেয়ার বা বেঞ্চের কিনারে বসবেন। দুই হাতের তালু দিয়ে বেঞ্চের কিনার চেপে ধরবেন। দুই হাতের দূরত্ব কাঁধের দুরত্বের সমান হবে। পা দুটো একটু সামনে টান করে দিন।
এবার হাতের উপর ভর দিয়ে শরীরের উপরি ভাগ নিচু করুন যাতে কনুই ৯০ ডিগ্রী পর্যন্ত বাঁকা হয়। হাতের উপর ভর দিয়ে শরীর আবার টান করে ফেলুন। এসময় কনুই সোজা হয়ে যাবে, তবে বিশ্রাম নিতে কনুই লক করে ফেলবেন না। এভাবে যতগুলো পারেন, করবেন। মোট ৩-৫ সেট দেবেন। সেটের মাঝে ২ মিনিট করে বিশ্রাম নেবেন।
প্রথমে হয়তো ৬-৮টার মতো পারবেন। ধীরে ধীরে ১৫টি করে দেয়ার চেষ্টা করবেন।

৪. পুশ-আপ/ বুকডন

হাতের উপর ভর দিয়ে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাত দুটো মাঝে দুরত্ব ৬ থেকে ২৪ ইঞ্চি পর্যন্ত হতে পারে। আপনার যেভাবে সুবিধা হয় এবং এবং বুকের উপর যাতে সবচেয়ে বেশি চাপ পড়ে ততটা দুরত্ব হাত বুকের কাছে রাখুন। পুরো শরীর টান থাকবে।
এবার হাতের উপর ভর দিয়ে নিঃশ্বাস নিতে নিতে ধীরে ধীরে শরীরের উপরি ভাগ উপরে তুলুন। এসময় হাতের কনুই সোজা হয়ে যাবে। শরীরের নিচের ভাগের ভর পায়ের আঙুলের উপর থাকবে।
নিঃশ্বাস ফেলতে ফেলতে ধীরে ধীরে শরীর আবার নিচে মেঝের কাছাকাছি নামিয়ে ফেলুন। দেখবেন শরীর যেন মেঝেতেস্পর্শ না করে। এভাবে একবার ওঠানো এবং একবার নামানোতে একটু বুকডন গননা হবে। যতগুলো পারুন, দিন।
এভাবে ৩-৫ সেট দেয়ার চেষ্টা করুন। প্রতি সেটের মাঝে ২ মিনিট বিশ্রাম নেবেন।

৫. ইনভার্টেড পুশ-আপ

যাদের শরীরের উপরিভাগ ততটা শক্তিশালী নয় এবং বুকডন দিয়ে খুব কষ্ট হয়, তারা এটা দিয়ে শুরু করতে পারেন। এটা যখন সময় পাবেন তখনই করতে পারেন।
দেয়াল থেকে ২/৩ ফুট দূরে সরে দাঁড়ান। দেয়ালে দুইহাত ঠেকিয়ে ঝুঁকে পড়ুন। হাত কাঁধের সমান্তরাল থাকবে। ঝুঁকে পড়ার সময় পায়ের গোড়ালি একটু উপরে উঠে গেলেও সমস্যা নাই।
বাকিটা বুকডনের মত করে করতে থাকুন।

৬. বেঞ্চ প্রেস

এটাতে ডামবেল বা বারবেল লাগবে।
বেঞ্চের উপর টান হয়ে শুয়ে পড়ুন। পা মেঝেতে বা বেঞ্চের উপর রাখতে পারেন। হাতে ডামবেল নিয়ে বুকের উপর তুলে ধরুন।
নিঃশ্বাস নিতে নিতে ধীরে ধীরে ডামবেল বুকের কাছাকাছি নামিয়ে আনুন। আবার নিঃশ্বাস ফেলতে ফেলতে ওজন উপরে তুলে ধরুন। কনুই পুরো টান করবেন না, হালকা বাঁকিয়ে রাখবেন। নিতম্ব যেন শুণ্যে উঠে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন, তবে পিঠের মাঝে হালকা বাঁকা হলে সমস্যা নাই।
এভাবে ৮-১০টি করে ৩-৫ সেট দিন। প্রতি সেটের মাঝে ২ মিনিট বিশ্রাম নিন।
খেয়াল রাখবেন, ওজন যেন আপনার শরীরের উপর না পড়ে যায়। ওজন বেশি নিলে মাথার কাছে একজনকে দাঁড়িয়ে সাহায্য করতে বলতে পারেন।
শুরুতে হালকা ওজন দিয়ে করবেন।

অকাল বীর্যপাত

পুরুষ যদি উত্তেজনার শুরুতেই বীর্য ত্যাগ করে তবে তাকে অকাল বীর্যপাত বলে। নারীর সাথে দৈহিক মিলনের সময় পুরুষ নানা ভাবে নারীকে উত্তেজিত করে। এই সময় উভয়েই উভয়েই শরীর স্পর্শ করে এবং নানাভাবে আদর করে। অনেক পুরুষের এই সময়েই বীর্যপাত হয়ে যায়। এতে করে পরবর্তী যৌন উত্তেজনা আর তীব্র হয় না। অকাল বীর্যপাতের ব্যাপারে কয়েকটি পরামর্শ হলো–

লিঙ্গে স্পর্শ না করা।
প্রথমেই তীব্র উত্তেজিত না হওয়া ।
পারস্পরিক হস্তমৈথুন ।
লিঙ্গের উত্তেজনা ধরে রাখা ইত্যাদি ।

চিকিৎসা
ডায়াজিপাম অথবা লিব্রিয়ামের ব্যবহার ।
যৌনমিলনের আধাঘন্টা আগে ট্যাবলেট মেলারিল ৫ থেকে ১০ মিঃগ্রাম সেবন।
ফোঁটা ফোঁটা বীর্যপাত পুরুষের যৌন জীবনের একটি সমস্যা। বিভিন্ন শারীরিক এবং মানসিক কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। সাইকোজেনিক কারণে অবশ্য এই সমস্যা হয় বেশি। অনেক ক্ষেত্রে আঘাতজনিত কোনো কারণে ও এটি হতে পারে। বিভিন্ন কারণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হলো –

কঠিন ধর্মীয় কুসংস্কার ।
গর্ভাবস্থার ভয় ।
নারীর কাছ থেকে লাঞ্ছিত হওয়া ।
সেলিবেসি অবস্থার চাপ ।
বীর্যদানে কার্পণ্য মনোভাব ইত্যাদি ।

সূত্রঃ প্রফেসর ডাঃ মোহাম্মদ ফিরোজ

নারী-পুরুষের জন্য কয়েকটি লক্ষ্যণীয় বিষয়

যৌনমিলনের সময় কনডম ব্যবহার করুন
যৌনমিলন দৈহিক তি করে না
পুরুষের সমস্যাগুলো কি জানতে চেষ্টা করুন
নারীর সমস্যাগুলো কি জানতে চেষ্টা করুন
ডাক্তারী পরামর্শ নিন

যৌবন প্রাপ্তির পর পরই পুরুষ নানা প্রকার যৌন সঞ্চয় করে। এই সময়ে পুরুষের যৌনতা ব্যাপারে তীব্র আকর্ষণ জন্মায় । যাতে করে পুরুষ হস্তমৈথুন থেকে শুরু করে সমকামিতা এমনকি পতিতা সঙ্গম পর্যন্ত যৌনতার অভ্যস্ত হয়। পুরুষের এই সময়কার কিছু যৌন অভিজ্ঞতা হলো এ রকম-

কিছু কিছু পুরুষ এই সময়ে জন্ম নিরোধকের ব্যবস্থা নিয়ে যৌনমিলন করে থাকে। অনেকেই কয়েকটা ইন্টেরেপ্টাস পদ্ধিতি গ্রহণ করে যাতে করে গর্ভাবস্থার ঝুকি কমানো যায়। এই পদ্ধতিতে পুরুষ যৌনমিলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে নারীর যোনি থেকে তার লিঙ্গ অপসারণ করে। যাতে করে পুরুষের বীর্য নারীর জরায়ুতে পোঁছাতে পারে না।

কোনো কোনো পুরুষ এই সময়ে যৌন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে গাড়ির ভেতরে বা নির্জন এলাকায়। অনেকে আবার বন্ধুর বাড়িতে বা অন্য কোনো আত্নীয়ের বাসায় প্রথম যৌন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এমনো দেখা যায়। শারীরিক এবং মানসিক চাপের জন্য অনেক পুরুষ হোটেলে বা সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে যৌনমিলনে রত হয়। এ ক্ষেত্রে তাড়াতাড়ির জন্য অনেক পুরুষ এবং নারী কেবল মাত্র একে অন্যের যৌনাঙ্গ স্পর্শের দ্বারা যৌন তৃপ্তি লাভ করে।

পতিতা সহবাস যৌবন প্রাপ্তির পরে পুরুষের যৌন অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের একটি অন্যতম উপায়। সাধারণত অতিরিক্ত মাত্রায় এলকোহল সেবনের পরে অনেক পুরুষ স্বাভাবিকভাবেই স্ত্রীর কাছ থেকে বেমুখ হয়ে পতিতার সাথে সঙ্গম ঘটায়। এই সময়ে পুরুষের কার্যত বাহ্যিক কোনো জ্ঞান থাকেনা বিধায় অতি অল্প সময়ের মধ্যে পুরুষের বীর্যপাত ঘটায় এবং তাতেই সে তৃপ্তি লাভ করে।

এই জাতীয় অভিজ্ঞতা ছাড়াও স্বমেহন পুরুষকে স্বল্প মাত্রাই যৌন অভিজ্ঞতা এনে দিতে পারে । আবার অনেক পুরুষ যৌনতার চাইতে বরং অন্যান্য নেশা দ্রব্যের প্রতি আকৃষ্টি হয়, যেমন এলকোহল বা মারিজুয়ানা। ক্রমাগত এই জতীয় নেশা দ্রব্য ব্যবহারের ফলে বহু পুরুষের যৌন ই্‌চ্ছা একেবারে কমে যায় এবং তারা পুরুষত্বহীনতায় ভোগে।

সমকামিতা ও কিন্তু যৌন অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের একটি উপায়। সমকামিতা হলো পুরুষের অন্য পুরুষের প্রতি এবং নারীর অন্য নারীর পতি যৌন আকর্ষণ অনুভব করা। পুরুষ এবং নারীর সমকামিতায় যৌনমিলনের মতোই আনন্দ লাভ করে থাকে। এটি যৌবন প্রাপ্তি পরে বহু পুরুষের যৌন তৃষ্ণা নিবারণের একমাত্র উপায় হয়ে দাঁড়ায়।

সূত্রঃ প্রফেসর ডাঃ মোহাম্মদ ফিরোজ

নারীর অভ্যন্তরীণ যৌনাঙ্গ

নারীকে পুরুষের চাইতে আরো যে বিষটি স্বতস্ফূর্তভাবে পৃথক করেছে ,তা হলো নারীর অভন্তরীণ যৌনাঙ্গ ,তথা যোনি । পুরুষের লিঙ্গ বহিঃমুখী অথচ নারীর যৌন লিঙ্গ নেই , তবে যৌনাঙ্গ হিসেবে রয়েছে যোনি । এই যোনির মাধ্যমেই নারী পুরুষের সাথে যৌন মিলনে মিশে যায়। যোনি যৌন উত্তেজনার সময় পিচ্ছিল হয়ে উঠে। কেননা যৌন উত্তেজনার সময় নারীর ভেতর তরলের রণ হতে থাকে । নারীর যৌন স্বাভাবিক আকারে ৯ সেঃমিঃ প্রায় সাড়ে তিন ইঞ্চি। তবে এটি বিভিন্ন সময়ে পরিবর্দিত হয় যেমন যৌনমিলনের সময় , সন্তান জন্মের সময় এমনকি হস্তমৈথুনের বা স্বমেহনের সময়। যোনির সাথে সম্পর্কযুক্ত একই মাত্রার অঙ্গ হলো সারবিঙ । যোনিতে প্রায় ত্রিশ রকমের কৌশিক কলা রয়েছে । এগুলো গভীর এবং যৌনমিলনের সময় লিঙ্গের চাপ এটি সহ্য করে নিতে পারে । যোনি থেকে সাধারণত ল্যাকটিক এসিড রিত হয়। একে যৌনরস বা মিউকাস বলা হয় । এটি যৌন উদ্দিপক এক প্রকার তরল । নারীর যৌন উত্তেজনার চূড়ান্ত পর্যায়ে এই তরল যোনি বেয়ে বাইরে চলে আসতে পারে। নারীর অপরাপর আভ্যন্তরীণ যৌনাঙ্গগুলো হলো , জরায়ু , পেলভিস, ওভারি ইত্যাদি। জরায়ুবা ইউটেরাস নারীর যৌন জীবনের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় । একই সাথে এটি গুরুত্বপূর্ণ ও বটে । নারীর যৌন জীবনের ততোথিক গুরুত্বপূর্ণ যৌনাঙ্গ হলো ওভারি বা ডিম্বাসয় । যৌনমিলনের পরে পুরুষের লিঙ্গ নিঃসৃত বীর্য নারীর ওভারিতে ডিম্বাশয়ে জমা হয় এবং তার পরে এটি ফ্যালোপিয়ান টিউব বেয়ে উপরিস্থিতি অংশ হলো ওভিডাক্ট। এটি ফ্যালোপিয়ান টিউবের সাথে সম্পর্কযুক্ত একটি অঙ্গ । মোটা মুটি এই হচ্ছে নারীর অভ্যন্তরীণ যৌনাঙ্গ । যার দ্বারা নারীর যৌন জীবন পূর্ণাঙ্গ হয়।

সূত্রঃ প্রফেসর ডাঃ মোহাম্মদ ফিরোজ

নারীর জন্য স্প্রে

যে সকল মহিলা দীর্ঘদিন ধরে যৌন শীতলতায় ভুগছেন তাদের জন্য এক আনন্দের বার্তা ঘোষণা করেছেন গবেষকরা। গবেষকদের মতে, এক বিশেষ ধরনের তরল পদার্থ মহিলাদের যৌনাঙ্গে স্প্রে করলে তাদের যৌনাকাঙক্ষা বাড়তে পারে এবং সেই সাথে শরীরও হতে পারে চাঙ্গা। Alprostadil নামের এ ওষুধটি কিন্তু একেবারে নতুন নয়। ইতোপূর্বে এই ওষুধটি পুরুষদের যৌন সমস্যা সমাধানে ব্যবহৃত হতো। Prostaglandin E থেকে এটি প্রস্তুত করা হয়।

মূলত সেই মহিলারাই যৌন শীতলতায় ভোগেন যাদের শরীর ও মন একই সাথে যৌন ইচ্ছায় সাড়া দেয় না। সম্প্রতি আমেরিকান ইউরোলজিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সভায় এ সম্বন্ধীয় এক সমীক্ষায় রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। রজঃনিবৃত্তপ্রাপ্ত যৌন শীতলতায় ভোগা ৪০ থেকে ৭০ বছর বয়স্ক মহিলাদের ওপর পরিচালিত এই সমীক্ষায় দেখা যায় যেসব মহিলা Alprostadil নামক তরল ওষুধটি তাদের ভগাঙ্কুর ও যোনিপথে স্প্রে করেছেন তাদের তীব্র থেকে অতি তীব্র যৌনাকাঙক্ষা সৃষ্টি হয়েছে এবং শরীর ও মন সেজন্য প্রস্তুত হয়েছে। সমীক্ষায় এই ফলাফলের কারণে গবেষকরা আশান্বিত এবং সেই সাথে যারা যৌন শীতলতা সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছেন তারাও আশান্বিত হতে পারেন এই ভেবে যে, অষঢ়ৎড়ংঃধফরষ স্প্রে ব্যবহারে জীবন আবারও হতে পারে মধুময়।

ডা. একে এম খালেকুজ্জামান দিপু
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০০৯

নারীর বহিঃ যৌনাঙ্গ

অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গের বাইরে পুরুষের চেয়ে নারীর স্বতন্ত্র কিছু যৌনাঙ্গ রয়েছে । প্রথমত এটি হচ্ছে স্তন বা ব্রেস্ট । নারীর স্তন যুগল একই সাথে নারীরত্বকে ফুটিয়ে তোলার পাশাপাশি এটি যৌন জীবনে এবং মাতৃত্বকালীন সময়ে বিশেষ ভূমিকা রাখে। নারীর নারীত্ব পূর্ণ মাত্রায় ফুটে উঠে তার স্তনের বিকাশের সাথে সাথে । পুরুষের নারীর মতো স্তন নেই তবে স্তনের স্পর্শে পুরুষও আবেদিত বা উত্তেজিত হয়। যৌন জীবনের প্রধান ভূমিকা রাখে নারীর স্তন। স্তনের স্পর্শের দ্বারা নারী সবচেয়ে মৌলিক এবং চূড়ান্ত যৌন উত্তেজনার পর্যায়ে পৌঁছে যায়। নারীর বহিঃ যৌনাঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে আবেদনশীল যৌনাঙ্গ হলো তার কিটোরিস। এটি নারীর বাইরের যৌনাঙ্গ। কিটোরিসকে বাংলাতে ভগাংকুর বলা হয় । বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গেছে যে ভগাংকুরের দৈঘ্য এবং প্রস্থ সব নারীর একই সমান নাও হতে পারে তবে সব নারীর ক্ষেত্রেই ভগাংকুরের স্পর্শের আনন্দ অপরিসীম । কিটোরিস এর মাথা নরম চামড়ার দ্বারা বা ত্বকের আবৃত থাকে। একে কিটোরাল হুড বা ভগাংকুরের আবৃত মাথা বলা যেতে পারে । এই মাথাকে আস্তে সরিয়ে নিলেই লালচে কিংবা সাদাটা যে নরম মাংসের ছোট পিন্ড দেখা যাবে সেটি হলো কিটোরিস নারী এখানে স্পর্শে আনন্দ অনুভব করে । এই আনন্দ চরমপুলকের মতো আনন্দ দিতে পারে । কোনো কোনো নারীকে দেখা যায় যে তারা যৌনমিলনের আনন্দের চাইতে ভগাংকুরের বা কিটোরিসের স্পর্শে আনন্দ উপভোগ করে বেশি এবং জীবনব্যাপী তারা যৌন আনন্দ এর মাঝে খুজে পায় । কিটোরিসে যদি নিজ হাতে স্পর্শ করে শারীরিক আনন্দ পাওয়া যায় তবে তাকে স্বমেহন বলা যেতে পারে । কিন্তু বা স্বামির যৌন সঙ্গীর স্পর্শে উক্ত শারীরিক আনন্দ পেলে তাকে আউটার কোর্স বা বাইরের যৌনতা বলা হয় । কিটোরিসের পরে নারীর বহিঃযৌনাঙ্গের মধ্যে যৌনির মুখ এবং যৌনির ঠোঁটের ব্যাপারটি চলে আসে । নারীর যোনির অর্থাৎ যৌনমিলনের প্রধান অঙ্গের উপরিভাগে দুটো ঠোঁট থাকে । এর একটির নাম ল্যাবিয়া ম্যাজোরা এবং অন্যটির নাম ল্যাবিয়া ম্যানোরা । ল্যাবিয়া ম্যাজোরা হলো অপোকৃত বড় ঠোঁটটির নাম এবং ল্যাবিয়া ম্যানোরা হলো অপোকৃত ছোট ঠোঁটটির নাম। যৌন উত্তেজনার সময় যোনির এই দুটি ঠোঁট এমনিতেই একটু ফাঁক হয়ে যায় বা সরে যায় । কিটোরিসের নিচে মূত্র নালীর একটি জায়গা আছে । এখান দিয়ে নারীর মূত্র ত্যাগ করতে হয় । মোটা মুটি নারীর বহিঃযৌনাঙ্গের ধারণা হলো এমন । নারীর এই বহিঃযৌনাঙ্গের পুরো অঞ্চলটিকে বলা হয় ভাবলা এই অঞ্চলে প্রচুর যৌন কেশ বা যৌন লোমের বিকাশ ঘটে ।

সূত্রঃ প্রফেসর ডাঃ মোহাম্মদ ফিরোজ

নারীর মনোপজ এবং যৌনতা

নারীর জীবনে মনোপজ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নারীর জীবনের প্রজনন শীতলতার শেষ পর্যায় বা সমাপ্তির পর্যায় হলো মনোপজ। মনোপজ প্রতিটি নারীর জীবনে অবশ্যম্ভাবী দেখা একটি বিষয়। নারীর বয়স মধ্যাবস্থায় উপনীত হলেই মনোপজ শুরুর বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। নারীর বয়স ৪০ থেকে ৪৫ বছর হলেই মনোপজ হতে পারে। মোটামুটি এই বয়স সীমাই হলো মনোপজের সময়কাল। তবে কোনো কোনো নারীর েত্ের এই সময়ের আগে বা পরে মনোপজ হয়ে যেতে পারে। সচরাচর এ রকম দেখা যায় যে অনেক নারীর ৪৫ বছরের মধ্যেই মনোপজ সম্পন্ন হয়। ৩৮ বা ৪০ বছর বয়সেও অনেক নারীর মনোপজ হয়ে যেতে পারে। তবে এটি খুব একটা সচরাচর দেখা যায় না। মনোপজ পূর্ব সময়ে বা মনোপজকালীন বা মনোপজ উত্তর নারীর জীবনে শারীরিক এবং মানসিক নানা পরিবর্তন দেখা দেয়। কখনও কখনও এই পরিবর্তনের উপসর্গগুলোও দেখা দিতে পারে। প্রায় প্রতিটি নারীর েত্ের প্রাক মনোপজকালীন স্বাভাবিক উপসর্গগুলো এরকম-

প্রাক মনোপজকালীন মানসিক উপসর্গ-
বিরক্তির উদ্রেক।
উদ্বিগ্নতা।
দুশ্চিন্তা।
বিষণ্নতা মৃদু অথবা কড়া।
প্যানিক এটাক।
ভালো না লাগা।
রাগান্বি হওয়া।
দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভোগ।
খাবারের ব্যাপারে অনীহা।
অহেতুক বিরক্তি ভাব।

প্রাক মনোপজকালীন শারীরিক উপসর্গ-
তলপেটে ব্যথা।
তলপেটে অস্বস্তিবোধ।
বুকে ব্যথা।
স্তনে ব্যথা বা অন্যান্য উপসর্গ।
ওজন বৃদ্ধি।
রাত্রিকালীন ঘাম হওয়া।
মাথা ব্যথা।
পিঠ ব্যথা।
ঘুমের সমস্যা।
দিনের বেলায় ঘুম ঘুম ভাব।
শরীরে জ্বালাপোড়া অনুভূতি।
শারীরিক এলোমেলো ভাব।

মনোপজ পূর্ব এবং মনোপজ উত্তর হার্টের সমস্যা-
মনোপজপূর্ব এবং মনোপজ উত্তর হার্টের সমস্যায় বহু নারী ভুগে থাকে। তবে মনোপজ পরবর্তী সময়ে হৃদরোগ আক্রান্ত হবার ঝুকি যে কোনো সময়ের চাইতে কমে যায়। এই সময়ে হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি বহু নারীর হার্টের সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ইস্ট্রোজেন হরমোন যারা বাহ্যিকভাবে এই সময়ে গ্রহণ করেন তাদের হৃদরোগের সম্ভাবনা কমে আসে। মনোপজ পূর্ব এবং পরবর্তী হৃদরোগের সম্ভাবনা কমাতে বা নিয়ন্ত্রণ রাখতে নিুাকে্ত বিষয়গুলোর দিকে মনোযোগ দিন-

ব্যায়াম-
বহু পরিায় দেখা গেছে মধ্য বয়সের পর থেকেই নারী যদি নিয়মিত ব্যায়াম করে তবে এটি তার শারীরিক সুষমা অবস্থার পাশাপাশি এর ফলে শরীরের ওজন কমানো যেতে পারে। কাজেই এই সময়ে ব্যায়ামের ব্যাপারে খেয়াল রাখুন।

সুষম খাদ্য-
স্যাচুরেটেড ফ্যাট খেতে হবে কম,কিন্তু তার পাশাপাশি সবুজশাক-সবজী এবং ফলমূল খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে। চিনির পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে। আরো একটি বিষয় হলো যৌগিক কার্বোহাইড্রেটস সুষম মাত্রায় গ্রহণ করা উচিত।

ফ্যাট কমাতে হবে-
অতিরিক্ত মাংস গ্রহণকারী নারীদের হার্টের সমস্যা তীব্র মাত্রায় প্রকাশ পেতে পারে মনোপজ পরবর্তী সময়ে। কাজেই এই সময় মাত্রাতিরিক্ত ফ্যাট বর্জন করতে হবে। সপ্তাহে অন্তত একদিন মুরগীর খাওয়া যেতে পারে এবং সপ্তাহে একদিন মাছ খুব উপকারী। এতে করেই শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি চলে আসবে। হেরিং ,স্যামন এবং ম্যাকারেল জাতীয় মাছ যারা খেতে পারেন, তাদের হার্টের সমস্যা খুব একটা হয় না। এছাড়াও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে বসবাসকারীরা অলিভ অয়েল বা জলপাইয়ের তেল গ্রহণ করে বিধায় তাদের হার্টের সমস্যা খুব একটা হয় না।

চিনি কমাতে হবে-
খাদ্যের তালিকা থেকে চিনিকে প্রধান্য দিন কম। চিনি যত কম খাওয়া যায় মধ্য বয়সের পরে হার্টের সমস্যা হয় ততো কম। চা বা কফির সাথে যতটুকু চিনি খাওয়া হয় ততো টুকুই শরীরের প্রয়োজনের সাথে মানানসই। এর বাইরে চিনিকে আলাদাভাবে গ্রহণের প্রয়োজন নেই।

খাদ্য তালিকা আঁশ যোগ করুন-
প্রচুর আঁশ জাতীয় খাদ্য আপনার সুষম স্বাস্থ্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে। সাদা রুটি, সবুজ শাক সবজি, আপেল ইত্যাদি থেকে আপনি প্রচুর আঁশ গ্রহন করতে পারেন। ৪৫ বছর বয়সের পরে নারীর এমনিতেই হার্টের নানা সমস্যা দেখা দেয়। এই সময়ে যদি খাদ্য তালিকার সাথে আঁশ যুক্ত করা যায় তবে কেবল মাত্র হার্টের অসুখ ছাড়াও নারীর অন্যান্য শারীরিক সমস্যার চাপ কমে আসতে পারে। অনেক নারীর েত্ের প্রাক মনোপজ কালীন এই উপসর্গগুলো দীর্ঘদিন থাকতে পারে। কারো কারো েত্ের এই উপসর্গের স্থায়িত্ব হয় দুই থেকে তিন দিন আবার কারো কারো েত্ের দুই থেকে তিন সপ্তাহ বা দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়। প্রাক মনোপজের নানা উপসর্গকে ভীতির চোখে দেখেন। যদিও এতে ভয় পাবার কোনো কারণ নেই। প্রাক মনোপজ কালীন উপসর্গ নিয়ন্ত্রণের জন্য ডাক্তাররা যে মেডিকেশন প্রেসক্রাইব করতে পারেন সেগুলো হলো। পিল।
ভিটামিন বি-৬২০০ মিঃগ্রাঃ প্রতিদিন।
ডিউরেট্রিকস।
স্পিরোনোলাকটন।
পিমরোজ তেলের ক্যাপসুল।
প্রোজেস্টেরন (যোনির সাপোজিটর) ২০০ থেকে ৮০০ মিলিগ্রাম প্রতিদিন।
ডাইড্রোজেস্টেরন ১০ মিলিগ্রাম প্রতি দিন দুই বার।
ব্রোমোক্রিপটিন ২.৫ মিলিগ্রাম প্রতি দিন দুই বার।
মেফেনামিক এসিড ২৫০ মিলিগ্রাম প্রতিদিন চার বার।
ফুয়োঙেটাইন (প্রোজাক) অথবা এই জাতীয় অন্যান্য ওষুধ।

সূত্রঃ প্রফেসর ডাঃ মোহাম্মদ ফিরোজ

নারীর যৌন চক্র

পুরুষের মতো নারীর যৌনাঙ্গ অবস্থান রয়েছে আভ্যন্তরীণ এবং বাহিরে এই দুভাবেই । নারীর বয়ঃসন্ধির পর থেকে তার স্তনের বিকাশ ঘটে এবং এই সময়ে নারীর যৌনির ঠোঁট দৃঢ় হতে শুরু করে । নারীর বাহিরে প্রধান যৌনাঙ্গ হলো তার স্তন । এতে স্পর্শের মাধ্যমে সে শিহরণ লাভ করে । নারীর প্রধান প্রধান বহিঃযৌনাঙ্গগুলো হলো-

স্তন
স্তনবৃন্ত
ল্যাবিয়া ম্যাজোরা
ল্যাবিয়া ম্যানোরা
মন্সপিউবিস
ভগাংকুর
যৌনি এবং মূত্রদ্বারের মধ্যস্থল

সূত্রঃ প্রফেসর ডাঃ মোহাম্মদ ফিরোজ

নারীর স্বমেহন

যৌনমিলন ছাড়া ও নারী চূড়ান্ত যৌন আনন্দ পেতে পারে । এটি হচ্ছে নারীর স্বমেহন প্রক্রিয়া । নারী যদি স্বমেহন বা হস্তমৈথুন করে তবেও তার যৌন আনন্দ পেতে পারে । নারীর ভগাংকুরের অংশটি সবচেয়ে বেশি উত্তেজক অংশ এখানে নারী হাতের স্পর্শে বা যৌনির ভেতরে লিঙ্গ সদৃশ্য কোনো কিছু ঢুকিয়ে নারী যৌন আনন্দ পেতে পারে । অনেকে মনে করেন যৌনমিলন ছাড়া যৌন আনন্দ পাওয়া আদৌ সম্ভব নয় । কিন্তু এটি সত্য যে স্বমেহন যৌন জীবনের একটি স্বাভাবিক অংশ । এটি শারীরিক কোনো তি করে না । এটি দিনে রাতে যে কোনো সময় যৌন সঙ্গি বা সঙ্গিনীর সাহায্য ছাড়াই করা যেতে পারে । যৌন বিশেষজ্ঞ হ্যাভলক এলিস মনে করেন হস্তমৈথুন বা স্বমেহন বহু নারী কে অন্য মাত্রার যৌনানুভূতি এনে দিতে পারে । হয়তো নারী ঠিক এভাবে এর আগে কখনো যৌন আনন্দ অনুভব করেনি । স্বমেহন ক্ষেত্রে যে ব্যাপারটি ঘটে সেটি হলো নারী তার যৌন অনুভূতিকে নিজে নিজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে । কৈশোরকালিন সময়ে সাধারণত একজন নারী বা পুরুষ স্বমেহনের ব্যাপারে জানতে পারে । স্বমেহন নারীর যৌন আনন্দের তীব্রতা বাড়াতে পারে । এটি পুরুষের জন্য ও সমানভাবে আনন্দজনক । পুরুষ গড়ে নারীর চাইতে বেশি হস্তমৈথুন করে থাকে । পুরুষ এবং নারীর স্বমেহনের পর পার্থক্য হলো পুরুষ শতকরা ৮১ জন এবং নারী শতকরা ৫৯ জন । নারী এবং পুরুষ যৌন আনন্দের বিকল্প উপায় হিসাবে স্বমেহনকে বেছে নেয় । আবার কেউ কেউ স্বমেহনকালীন সময়ে যৌন ফ্যান্টাসিকে গ্রহন করে । এতে করে যৌন অনুভূতি আরো বেড়ে যেতে পারে । বয়ঃসন্ধিকালীন সময়ে নারীর স্বমেহনের ব্যাপারে অতি উৎসাহ দেখা যেতে পারে । এর প্রধান কারণ এই সময়ে নারীর শরীরে হরমোন নিঃসরণের পরিমান বেড়ে যায় । অনেক পিতা মাতা তাদের ছেলে বা মেয়ে কে যৌনতা একটি নোংরা ব্যাপার এই বিষয়ে ধারণা দেন । এরকম ধারণায় পরবর্তী সময়ে বিশ্বাসী হয়ে অনেক নারী এবং পুরুষ যৌনতার ব্যাপারে অনাগ্রহি হয়ে উঠে । মনে রাখা উচিত যৌনতা আদৌ কোনো খারাপ বিষয় নয় । এটি মনোদৈহিক এবং শারীরিক উৎকর্ষতা তৈরি করে । তবে পাশা-পাশি এটিও সত্য যে অতিরিক্ত স্বমেহন নারীর এবং পুরুষের স্ব্যাস্থগত সমস্যারও সৃষ্টি করতে পারে । এটি ততোণ ভাল যতোণ পর্যন্ত শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং ভিটামিনের স্থিতিস্থাপকতা বজায় থাকে । নারীর জন্য কোনো কোনো সময় স্বমেহনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে । এটি সুস্থ্য যৌনতারই প্রকাশ ঘটায় । তবে পুরুষদের হস্তমৈথুন সংক্রান্ত কিছু ধারণা হলো –

হস্তমৈথুন যৌন উত্তেজনা কমায় না ।
হস্তমৈথুনে বীর্যপাত হয় সামান্য ।
হস্তমৈথুনের সময় যৌন উত্তেজক ছবি দেখা ভলো ।
হস্তমৈথুনে লিঙ্গের দৃঢ়তা বাড়ে ইত্যাদি ।

পাশাপাশি বহু পুরুষের যৌনতা এবং হস্তমৈথুন সম্পর্কে কিছু ভ্রান্ত ধারণা আছে এবং তারা হস্তমৈথুনকে পাপ মনে করেন । সাধারণত এই বিশ্বাসগুলো সৃষ্টি হয় বিভিন্ন কারণে । যেমন-
বৃদ্ধ বয়সে ধর্মীয় বিশ্বাস ।
ডাক্তারী ভ্রান্ত কৌশল অবলম্বন ।
পিতা মাতার কঠোর শাসন ।
সব নারীকেই পবিত্র মনে করা ।
ডাক্তারদের ভুল ব্যাখ্যা ।
কুসংস্কার ইত্যাদি ।

এর পাশপাশি একজন হস্তমৈথুনকারী আরো বিভিন্ন বিষয় চিন্তা করে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে অন্যান্য ক্ষেত্রে তার চিন্তা ভাবনা ও বিশ্বাসগুলো হলো:
এটি শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতার সৃষ্টি করে ।
এটি চোখের দৃষ্টি কমিয়ে দেয় ।
এক ফোঁটা বীর্যে চল্লিশ ফোঁটা রক্ত থাকে ।
অতিরিক্ত হস্তমৈথুন পুরুষকে পুরুষত্বহীন করে তোলে ।
হস্তমৈথুন লিঙ্গের স্নায়ু এবং রক্তচলাচলের কোষকে দুর্বল করে তলে ।
এটি পিঠ ব্যথার সৃষ্টি করে ।
এটি সামাজিকতার চোখে নিন্দনীয় ।
এটি একজন পুরুষকে সমকামী করে তুলতে পারে ।

উপরের সবগুলোই চিন্তা ভ্রান্ত এবং বাস্তবতা বহির্ভূত । হস্তমৈথুন কোনো কোনো সময় মানসিক চাপ সৃষ্টি করে ঠিকই কিন্তু এর ফলে দৈহিক এবং মানসিক কোনো পরিবর্তন হয় না । হস্তমৈথুনের ব্যাপ্যারে কিনসে প্রকাশিত আসল তথ্যগুলো হলো -
পরিমিত মাত্রার হস্তমৈথুন ভালো।
২৫ বছরের পর দৈনন্দিন হস্তমৈথুন ক্ষতিকর নয় ।
এটি একটি স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া ।
এটি আত্নবিশ্বাস বাড়ায় ।
মাত্রা অতিরিক্ত হস্তমৈথুন (যেমন দিনে একাধিক বার) খারাপ ।
এটি যৌন অনুভূতি চাঙ্গা করে ।
হস্তমৈথুন যৌনমিলনের কৌশল বাড়াতে সাহায্য করে ।
এটি আত্মতৃপ্তিদায়ক যৌন অভ্যাস ।

স্বাভাবিকভাবে হস্তমৈথুনের ফলে কেউ যদি মানসিক এবং শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ব্যাপারটি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে তবে নিচের ব্যবস্থাপত্র গ্রহন করা উচিত – বি কমপ্লেঙ ইনজেকশন প্রতি দিন একটি করে পনের দিন ।
ট্যাবলেট এম ভি এফ এঙ এক মাস সেবন করতে হবে ।
প্রতিদিন ঘুমের আগে ৫মিলি গ্রাম ডায়াজিপাম একটি করে সেবন করতে হবে।
ট্যাবলেট সেট্রা-৫০ মিলিগ্রাম প্রতিদিন একটি করে সেবন করতে হবে ।

সূত্রঃ প্রফেসর ডাঃ মোহাম্মদ ফিরোজ

যৌনমিলন ছাড়া ও নারী চূড়ান্ত যৌন আনন্দ পেতে পারে । এটি হচ্ছে নারীর স্বমেহন প্রক্রিয়া । নারী যদি স্বমেহন বা হস্তমৈথুন করে তবেও তার যৌন আনন্দ পেতে পারে । নারীর ভগাংকুরের অংশটি সবচেয়ে বেশি উত্তেজক অংশ এখানে নারী হাতের স্পর্শে বা যৌনির ভেতরে লিঙ্গ সদৃশ্য কোনো কিছু ঢুকিয়ে নারী যৌন আনন্দ পেতে পারে । অনেকে মনে করেন যৌনমিলন ছাড়া যৌন আনন্দ পাওয়া আদৌ সম্ভব নয় । কিন্তু এটি সত্য যে স্বমেহন যৌন জীবনের একটি স্বাভাবিক অংশ । এটি শারীরিক কোনো তি করে না । এটি দিনে রাতে যে কোনো সময় যৌন সঙ্গি বা সঙ্গিনীর সাহায্য ছাড়াই করা যেতে পারে । যৌন বিশেষজ্ঞ হ্যাভলক এলিস মনে করেন হস্তমৈথুন বা স্বমেহন বহু নারী কে অন্য মাত্রার যৌনানুভূতি এনে দিতে পারে । হয়তো নারী ঠিক এভাবে এর আগে কখনো যৌন আনন্দ অনুভব করেনি । স্বমেহন ক্ষেত্রে যে ব্যাপারটি ঘটে সেটি হলো নারী তার যৌন অনুভূতিকে নিজে নিজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে । কৈশোরকালিন সময়ে সাধারণত একজন নারী বা পুরুষ স্বমেহনের ব্যাপারে জানতে পারে । স্বমেহন নারীর যৌন আনন্দের তীব্রতা বাড়াতে পারে । এটি পুরুষের জন্য ও সমানভাবে আনন্দজনক । পুরুষ গড়ে নারীর চাইতে বেশি হস্তমৈথুন করে থাকে । পুরুষ এবং নারীর স্বমেহনের পর পার্থক্য হলো পুরুষ শতকরা ৮১ জন এবং নারী শতকরা ৫৯ জন । নারী এবং পুরুষ যৌন আনন্দের বিকল্প উপায় হিসাবে স্বমেহনকে বেছে নেয় । আবার কেউ কেউ স্বমেহনকালীন সময়ে যৌন ফ্যান্টাসিকে গ্রহন করে । এতে করে যৌন অনুভূতি আরো বেড়ে যেতে পারে । বয়ঃসন্ধিকালীন সময়ে নারীর স্বমেহনের ব্যাপারে অতি উৎসাহ দেখা যেতে পারে । এর প্রধান কারণ এই সময়ে নারীর শরীরে হরমোন নিঃসরণের পরিমান বেড়ে যায় । অনেক পিতা মাতা তাদের ছেলে বা মেয়ে কে যৌনতা একটি নোংরা ব্যাপার এই বিষয়ে ধারণা দেন । এরকম ধারণায় পরবর্তী সময়ে বিশ্বাসী হয়ে অনেক নারী এবং পুরুষ যৌনতার ব্যাপারে অনাগ্রহি হয়ে উঠে । মনে রাখা উচিত যৌনতা আদৌ কোনো খারাপ বিষয় নয় । এটি মনোদৈহিক এবং শারীরিক উৎকর্ষতা তৈরি করে । তবে পাশা-পাশি এটিও সত্য যে অতিরিক্ত স্বমেহন নারীর এবং পুরুষের স্ব্যাস্থগত সমস্যারও সৃষ্টি করতে পারে । এটি ততোণ ভাল যতোণ পর্যন্ত শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং ভিটামিনের স্থিতিস্থাপকতা বজায় থাকে । নারীর জন্য কোনো কোনো সময় স্বমেহনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে । এটি সুস্থ্য যৌনতারই প্রকাশ ঘটায় । তবে পুরুষদের হস্তমৈথুন সংক্রান্ত কিছু ধারণা হলো –
হস্তমৈথুন যৌন উত্তেজনা কমায় না ।
হস্তমৈথুনে বীর্যপাত হয় সামান্য ।
হস্তমৈথুনের সময় যৌন উত্তেজক ছবি দেখা ভলো ।
হস্তমৈথুনে লিঙ্গের দৃঢ়তা বাড়ে ইত্যাদি ।
পাশাপাশি বহু পুরুষের যৌনতা এবং হস্তমৈথুন সম্পর্কে কিছু ভ্রান্ত ধারণা আছে এবং তারা হস্তমৈথুনকে পাপ মনে করেন । সাধারণত এই বিশ্বাসগুলো সৃষ্টি হয় বিভিন্ন কারণে । যেমন-
বৃদ্ধ বয়সে ধর্মীয় বিশ্বাস ।
ডাক্তারী ভ্রান্ত কৌশল অবলম্বন ।
পিতা মাতার কঠোর শাসন ।
সব নারীকেই পবিত্র মনে করা ।
ডাক্তারদের ভুল ব্যাখ্যা ।
কুসংস্কার ইত্যাদি ।
এর পাশপাশি একজন হস্তমৈথুনকারী আরো বিভিন্ন বিষয় চিন্তা করে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে অন্যান্য ক্ষেত্রে তার চিন্তা ভাবনা ও বিশ্বাসগুলো হলো:
এটি শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতার সৃষ্টি করে ।
এটি চোখের দৃষ্টি কমিয়ে দেয় ।
এক ফোঁটা বীর্যে চল্লিশ ফোঁটা রক্ত থাকে ।
অতিরিক্ত হস্তমৈথুন পুরুষকে পুরুষত্বহীন করে তোলে ।
হস্তমৈথুন লিঙ্গের স্নায়ু এবং রক্তচলাচলের কোষকে দুর্বল করে তলে ।
এটি পিঠ ব্যথার সৃষ্টি করে ।
এটি সামাজিকতার চোখে নিন্দনীয় ।
এটি একজন পুরুষকে সমকামী করে তুলতে পারে ।
উপরের সবগুলোই চিন্তা ভ্রান্ত এবং বাস্তবতা বহির্ভূত । হস্তমৈথুন কোনো কোনো সময় মানসিক চাপ সৃষ্টি করে ঠিকই কিন্তু এর ফলে দৈহিক এবং মানসিক কোনো পরিবর্তন হয় না । হস্তমৈথুনের ব্যাপ্যারে কিনসে প্রকাশিত আসল তথ্যগুলো হলো -
পরিমিত মাত্রার হস্তমৈথুন ভালো।
২৫ বছরের পর দৈনন্দিন হস্তমৈথুন ক্ষতিকর নয় ।
এটি একটি স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া ।
এটি আত্নবিশ্বাস বাড়ায় ।
মাত্রা অতিরিক্ত হস্তমৈথুন (যেমন দিনে একাধিক বার) খারাপ ।
এটি যৌন অনুভূতি চাঙ্গা করে ।
হস্তমৈথুন যৌনমিলনের কৌশল বাড়াতে সাহায্য করে ।
এটি আত্মতৃপ্তিদায়ক যৌন অভ্যাস ।
স্বাভাবিকভাবে হস্তমৈথুনের ফলে কেউ যদি মানসিক এবং শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ব্যাপারটি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে তবে নিচের ব্যবস্থাপত্র গ্রহন করা উচিত – বি কমপ্লেঙ ইনজেকশন প্রতি দিন একটি করে পনের দিন ।
ট্যাবলেট এম ভি এফ এঙ এক মাস সেবন করতে হবে ।
প্রতিদিন ঘুমের আগে ৫মিলি গ্রাম ডায়াজিপাম একটি করে সেবন করতে হবে।
ট্যাবলেট সেট্রা-৫০ মিলিগ্রাম প্রতিদিন একটি করে সেবন করতে হবে ।
সূত্রঃ প্রফেসর ডাঃ মোহাম্মদ ফিরোজ
- See more at: http://www.ebanglahealth.com/?p=1750#sthash.1R0UGRr3.dpuf

নারীর স্বমেহন

যৌনমিলন ছাড়া ও নারী চূড়ান্ত যৌন আনন্দ পেতে পারে । এটি হচ্ছে নারীর স্বমেহন প্রক্রিয়া । নারী যদি স্বমেহন বা হস্তমৈথুন করে তবেও তার যৌন আনন্দ পেতে পারে । নারীর ভগাংকুরের অংশটি সবচেয়ে বেশি উত্তেজক অংশ এখানে নারী হাতের স্পর্শে বা যৌনির ভেতরে লিঙ্গ সদৃশ্য কোনো কিছু ঢুকিয়ে নারী যৌন আনন্দ পেতে পারে । অনেকে মনে করেন যৌনমিলন ছাড়া যৌন আনন্দ পাওয়া আদৌ সম্ভব নয় । কিন্তু এটি সত্য যে স্বমেহন যৌন জীবনের একটি স্বাভাবিক অংশ । এটি শারীরিক কোনো তি করে না । এটি দিনে রাতে যে কোনো সময় যৌন সঙ্গি বা সঙ্গিনীর সাহায্য ছাড়াই করা যেতে পারে । যৌন বিশেষজ্ঞ হ্যাভলক এলিস মনে করেন হস্তমৈথুন বা স্বমেহন বহু নারী কে অন্য মাত্রার যৌনানুভূতি এনে দিতে পারে । হয়তো নারী ঠিক এভাবে এর আগে কখনো যৌন আনন্দ অনুভব করেনি । স্বমেহন ক্ষেত্রে যে ব্যাপারটি ঘটে সেটি হলো নারী তার যৌন অনুভূতিকে নিজে নিজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে । কৈশোরকালিন সময়ে সাধারণত একজন নারী বা পুরুষ স্বমেহনের ব্যাপারে জানতে পারে । স্বমেহন নারীর যৌন আনন্দের তীব্রতা বাড়াতে পারে । এটি পুরুষের জন্য ও সমানভাবে আনন্দজনক । পুরুষ গড়ে নারীর চাইতে বেশি হস্তমৈথুন করে থাকে । পুরুষ এবং নারীর স্বমেহনের পর পার্থক্য হলো পুরুষ শতকরা ৮১ জন এবং নারী শতকরা ৫৯ জন । নারী এবং পুরুষ যৌন আনন্দের বিকল্প উপায় হিসাবে স্বমেহনকে বেছে নেয় । আবার কেউ কেউ স্বমেহনকালীন সময়ে যৌন ফ্যান্টাসিকে গ্রহন করে । এতে করে যৌন অনুভূতি আরো বেড়ে যেতে পারে । বয়ঃসন্ধিকালীন সময়ে নারীর স্বমেহনের ব্যাপারে অতি উৎসাহ দেখা যেতে পারে । এর প্রধান কারণ এই সময়ে নারীর শরীরে হরমোন নিঃসরণের পরিমান বেড়ে যায় । অনেক পিতা মাতা তাদের ছেলে বা মেয়ে কে যৌনতা একটি নোংরা ব্যাপার এই বিষয়ে ধারণা দেন । এরকম ধারণায় পরবর্তী সময়ে বিশ্বাসী হয়ে অনেক নারী এবং পুরুষ যৌনতার ব্যাপারে অনাগ্রহি হয়ে উঠে । মনে রাখা উচিত যৌনতা আদৌ কোনো খারাপ বিষয় নয় । এটি মনোদৈহিক এবং শারীরিক উৎকর্ষতা তৈরি করে । তবে পাশা-পাশি এটিও সত্য যে অতিরিক্ত স্বমেহন নারীর এবং পুরুষের স্ব্যাস্থগত সমস্যারও সৃষ্টি করতে পারে । এটি ততোণ ভাল যতোণ পর্যন্ত শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং ভিটামিনের স্থিতিস্থাপকতা বজায় থাকে । নারীর জন্য কোনো কোনো সময় স্বমেহনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে । এটি সুস্থ্য যৌনতারই প্রকাশ ঘটায় । তবে পুরুষদের হস্তমৈথুন সংক্রান্ত কিছু ধারণা হলো –

হস্তমৈথুন যৌন উত্তেজনা কমায় না ।
হস্তমৈথুনে বীর্যপাত হয় সামান্য ।
হস্তমৈথুনের সময় যৌন উত্তেজক ছবি দেখা ভলো ।
হস্তমৈথুনে লিঙ্গের দৃঢ়তা বাড়ে ইত্যাদি ।

পাশাপাশি বহু পুরুষের যৌনতা এবং হস্তমৈথুন সম্পর্কে কিছু ভ্রান্ত ধারণা আছে এবং তারা হস্তমৈথুনকে পাপ মনে করেন । সাধারণত এই বিশ্বাসগুলো সৃষ্টি হয় বিভিন্ন কারণে । যেমন-
বৃদ্ধ বয়সে ধর্মীয় বিশ্বাস ।
ডাক্তারী ভ্রান্ত কৌশল অবলম্বন ।
পিতা মাতার কঠোর শাসন ।
সব নারীকেই পবিত্র মনে করা ।
ডাক্তারদের ভুল ব্যাখ্যা ।
কুসংস্কার ইত্যাদি ।

এর পাশপাশি একজন হস্তমৈথুনকারী আরো বিভিন্ন বিষয় চিন্তা করে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে অন্যান্য ক্ষেত্রে তার চিন্তা ভাবনা ও বিশ্বাসগুলো হলো:
এটি শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতার সৃষ্টি করে ।
এটি চোখের দৃষ্টি কমিয়ে দেয় ।
এক ফোঁটা বীর্যে চল্লিশ ফোঁটা রক্ত থাকে ।
অতিরিক্ত হস্তমৈথুন পুরুষকে পুরুষত্বহীন করে তোলে ।
হস্তমৈথুন লিঙ্গের স্নায়ু এবং রক্তচলাচলের কোষকে দুর্বল করে তলে ।
এটি পিঠ ব্যথার সৃষ্টি করে ।
এটি সামাজিকতার চোখে নিন্দনীয় ।
এটি একজন পুরুষকে সমকামী করে তুলতে পারে ।

উপরের সবগুলোই চিন্তা ভ্রান্ত এবং বাস্তবতা বহির্ভূত । হস্তমৈথুন কোনো কোনো সময় মানসিক চাপ সৃষ্টি করে ঠিকই কিন্তু এর ফলে দৈহিক এবং মানসিক কোনো পরিবর্তন হয় না । হস্তমৈথুনের ব্যাপ্যারে কিনসে প্রকাশিত আসল তথ্যগুলো হলো -
পরিমিত মাত্রার হস্তমৈথুন ভালো।
২৫ বছরের পর দৈনন্দিন হস্তমৈথুন ক্ষতিকর নয় ।
এটি একটি স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া ।
এটি আত্নবিশ্বাস বাড়ায় ।
মাত্রা অতিরিক্ত হস্তমৈথুন (যেমন দিনে একাধিক বার) খারাপ ।
এটি যৌন অনুভূতি চাঙ্গা করে ।
হস্তমৈথুন যৌনমিলনের কৌশল বাড়াতে সাহায্য করে ।
এটি আত্মতৃপ্তিদায়ক যৌন অভ্যাস ।

স্বাভাবিকভাবে হস্তমৈথুনের ফলে কেউ যদি মানসিক এবং শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ব্যাপারটি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে তবে নিচের ব্যবস্থাপত্র গ্রহন করা উচিত – বি কমপ্লেঙ ইনজেকশন প্রতি দিন একটি করে পনের দিন ।
ট্যাবলেট এম ভি এফ এঙ এক মাস সেবন করতে হবে ।
প্রতিদিন ঘুমের আগে ৫মিলি গ্রাম ডায়াজিপাম একটি করে সেবন করতে হবে।
ট্যাবলেট সেট্রা-৫০ মিলিগ্রাম প্রতিদিন একটি করে সেবন করতে হবে ।

সূত্রঃ প্রফেসর ডাঃ মোহাম্মদ ফিরোজ

যৌনমিলন ছাড়া ও নারী চূড়ান্ত যৌন আনন্দ পেতে পারে । এটি হচ্ছে নারীর স্বমেহন প্রক্রিয়া । নারী যদি স্বমেহন বা হস্তমৈথুন করে তবেও তার যৌন আনন্দ পেতে পারে । নারীর ভগাংকুরের অংশটি সবচেয়ে বেশি উত্তেজক অংশ এখানে নারী হাতের স্পর্শে বা যৌনির ভেতরে লিঙ্গ সদৃশ্য কোনো কিছু ঢুকিয়ে নারী যৌন আনন্দ পেতে পারে । অনেকে মনে করেন যৌনমিলন ছাড়া যৌন আনন্দ পাওয়া আদৌ সম্ভব নয় । কিন্তু এটি সত্য যে স্বমেহন যৌন জীবনের একটি স্বাভাবিক অংশ । এটি শারীরিক কোনো তি করে না । এটি দিনে রাতে যে কোনো সময় যৌন সঙ্গি বা সঙ্গিনীর সাহায্য ছাড়াই করা যেতে পারে । যৌন বিশেষজ্ঞ হ্যাভলক এলিস মনে করেন হস্তমৈথুন বা স্বমেহন বহু নারী কে অন্য মাত্রার যৌনানুভূতি এনে দিতে পারে । হয়তো নারী ঠিক এভাবে এর আগে কখনো যৌন আনন্দ অনুভব করেনি । স্বমেহন ক্ষেত্রে যে ব্যাপারটি ঘটে সেটি হলো নারী তার যৌন অনুভূতিকে নিজে নিজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে । কৈশোরকালিন সময়ে সাধারণত একজন নারী বা পুরুষ স্বমেহনের ব্যাপারে জানতে পারে । স্বমেহন নারীর যৌন আনন্দের তীব্রতা বাড়াতে পারে । এটি পুরুষের জন্য ও সমানভাবে আনন্দজনক । পুরুষ গড়ে নারীর চাইতে বেশি হস্তমৈথুন করে থাকে । পুরুষ এবং নারীর স্বমেহনের পর পার্থক্য হলো পুরুষ শতকরা ৮১ জন এবং নারী শতকরা ৫৯ জন । নারী এবং পুরুষ যৌন আনন্দের বিকল্প উপায় হিসাবে স্বমেহনকে বেছে নেয় । আবার কেউ কেউ স্বমেহনকালীন সময়ে যৌন ফ্যান্টাসিকে গ্রহন করে । এতে করে যৌন অনুভূতি আরো বেড়ে যেতে পারে । বয়ঃসন্ধিকালীন সময়ে নারীর স্বমেহনের ব্যাপারে অতি উৎসাহ দেখা যেতে পারে । এর প্রধান কারণ এই সময়ে নারীর শরীরে হরমোন নিঃসরণের পরিমান বেড়ে যায় । অনেক পিতা মাতা তাদের ছেলে বা মেয়ে কে যৌনতা একটি নোংরা ব্যাপার এই বিষয়ে ধারণা দেন । এরকম ধারণায় পরবর্তী সময়ে বিশ্বাসী হয়ে অনেক নারী এবং পুরুষ যৌনতার ব্যাপারে অনাগ্রহি হয়ে উঠে । মনে রাখা উচিত যৌনতা আদৌ কোনো খারাপ বিষয় নয় । এটি মনোদৈহিক এবং শারীরিক উৎকর্ষতা তৈরি করে । তবে পাশা-পাশি এটিও সত্য যে অতিরিক্ত স্বমেহন নারীর এবং পুরুষের স্ব্যাস্থগত সমস্যারও সৃষ্টি করতে পারে । এটি ততোণ ভাল যতোণ পর্যন্ত শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং ভিটামিনের স্থিতিস্থাপকতা বজায় থাকে । নারীর জন্য কোনো কোনো সময় স্বমেহনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে । এটি সুস্থ্য যৌনতারই প্রকাশ ঘটায় । তবে পুরুষদের হস্তমৈথুন সংক্রান্ত কিছু ধারণা হলো –
হস্তমৈথুন যৌন উত্তেজনা কমায় না ।
হস্তমৈথুনে বীর্যপাত হয় সামান্য ।
হস্তমৈথুনের সময় যৌন উত্তেজক ছবি দেখা ভলো ।
হস্তমৈথুনে লিঙ্গের দৃঢ়তা বাড়ে ইত্যাদি ।
পাশাপাশি বহু পুরুষের যৌনতা এবং হস্তমৈথুন সম্পর্কে কিছু ভ্রান্ত ধারণা আছে এবং তারা হস্তমৈথুনকে পাপ মনে করেন । সাধারণত এই বিশ্বাসগুলো সৃষ্টি হয় বিভিন্ন কারণে । যেমন-
বৃদ্ধ বয়সে ধর্মীয় বিশ্বাস ।
ডাক্তারী ভ্রান্ত কৌশল অবলম্বন ।
পিতা মাতার কঠোর শাসন ।
সব নারীকেই পবিত্র মনে করা ।
ডাক্তারদের ভুল ব্যাখ্যা ।
কুসংস্কার ইত্যাদি ।
এর পাশপাশি একজন হস্তমৈথুনকারী আরো বিভিন্ন বিষয় চিন্তা করে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে অন্যান্য ক্ষেত্রে তার চিন্তা ভাবনা ও বিশ্বাসগুলো হলো:
এটি শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতার সৃষ্টি করে ।
এটি চোখের দৃষ্টি কমিয়ে দেয় ।
এক ফোঁটা বীর্যে চল্লিশ ফোঁটা রক্ত থাকে ।
অতিরিক্ত হস্তমৈথুন পুরুষকে পুরুষত্বহীন করে তোলে ।
হস্তমৈথুন লিঙ্গের স্নায়ু এবং রক্তচলাচলের কোষকে দুর্বল করে তলে ।
এটি পিঠ ব্যথার সৃষ্টি করে ।
এটি সামাজিকতার চোখে নিন্দনীয় ।
এটি একজন পুরুষকে সমকামী করে তুলতে পারে ।
উপরের সবগুলোই চিন্তা ভ্রান্ত এবং বাস্তবতা বহির্ভূত । হস্তমৈথুন কোনো কোনো সময় মানসিক চাপ সৃষ্টি করে ঠিকই কিন্তু এর ফলে দৈহিক এবং মানসিক কোনো পরিবর্তন হয় না । হস্তমৈথুনের ব্যাপ্যারে কিনসে প্রকাশিত আসল তথ্যগুলো হলো -
পরিমিত মাত্রার হস্তমৈথুন ভালো।
২৫ বছরের পর দৈনন্দিন হস্তমৈথুন ক্ষতিকর নয় ।
এটি একটি স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া ।
এটি আত্নবিশ্বাস বাড়ায় ।
মাত্রা অতিরিক্ত হস্তমৈথুন (যেমন দিনে একাধিক বার) খারাপ ।
এটি যৌন অনুভূতি চাঙ্গা করে ।
হস্তমৈথুন যৌনমিলনের কৌশল বাড়াতে সাহায্য করে ।
এটি আত্মতৃপ্তিদায়ক যৌন অভ্যাস ।
স্বাভাবিকভাবে হস্তমৈথুনের ফলে কেউ যদি মানসিক এবং শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ব্যাপারটি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে তবে নিচের ব্যবস্থাপত্র গ্রহন করা উচিত – বি কমপ্লেঙ ইনজেকশন প্রতি দিন একটি করে পনের দিন ।
ট্যাবলেট এম ভি এফ এঙ এক মাস সেবন করতে হবে ।
প্রতিদিন ঘুমের আগে ৫মিলি গ্রাম ডায়াজিপাম একটি করে সেবন করতে হবে।
ট্যাবলেট সেট্রা-৫০ মিলিগ্রাম প্রতিদিন একটি করে সেবন করতে হবে ।
সূত্রঃ প্রফেসর ডাঃ মোহাম্মদ ফিরোজ
- See more at: http://www.ebanglahealth.com/?p=1750#sthash.1R0UGRr3.dpuf

নিকোটিনে শারীরিক ক্ষমতা হ্রাস

ধূমপানের নানা অপকারিতা সম্পর্কে জানেন মোটামুটি সকল ধূমপায়ী। তারপরও ধূমপান ত্যাগ করতে দেখা যায় অনেক কমসংখ্যক ধূমপায়ীকে। ধূমপান থেকে ফুসফুসের ক্যান্সার, হার্টের রক্তনালী সরু হয়ে হার্ট এ্যাটাকের মত বেদনাদায়ক ঘটনা ঘটতে পারে। কমে যায় গড় আয়ু, কর্ম ক্ষমতা তার পরও ধূমপায়ীদের তেমন কোন উদ্বেগ নেই। অনেকের ধারনা বহু বছর ধরে ধূমপান করছি, দাদা ধূমপায়ী ছিলেন, বাবা ধূমপায়ী ছিলেন কোন সমস্যা তো দেখিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য বিপদ যাদের আসে তারাই বোঝেন। সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে ধূমপানের বড় বড় ক্ষতি বেশী চোখে পড়ে। কিন্তু অনেক ক্ষতি আছে যা চোখে পড়ে না। অথচ ধূমপানের ফলে শতকরা ৫ থেকে ১০ ভাগ ধূমপায়ীর শারীরিক ক্ষমতা বা যৌন ক্ষমতা হ্রাস পায়। আর এই শারীরিক ক্ষমতা হ্রাসের প্রধান শত্রু হচ্ছে সিগারেট, বিড়ি, তামাক, জর্দ্দার মধ্যে থাকা বিষ নামের মারাত্মক ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ নিকোটিন। নিকোটিন শুধু রক্তনালী সরু করে দেয় এবং হার্টের রক্তনালীতে চর্বি জমতে সাহায্য করে তাই নয়, এই নিকোটিন রক্তের স্বাভাবিক প্রবাহকে কমিয়ে দেয়। ফলে অঙ্গ-প্রতঙ্গের রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। এতে শারীরিক ক্ষমতা হ্রাস পায়, পাশাপাশি নিকোটিন ফুসফুস ও হার্টের স্বাভাবিক ক্ষমতাকেও হ্রাস করে। ফলে শারীরিক দুর্বলতা প্রতীয়মান হয় নানা ক্ষেত্রে। সিগারেটের নিকোটিন সাময়িক ভাবে মস্তিষ্ক উজ্জীবীত করলেও মস্তিষ্ক নিকোটিনের দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষতি নানাবিধ। নিকোটিন মস্তিষ্কের রক্তনালীকে সরু করে দেয় ফলে মস্তিষ্কে রক্তচলাচলেও ব্যহত হয়। মস্তিষ্ক হয়ে পড়ে দুর্বল। ফলে বিশেষ ক্ষেত্রে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অধিক রক্ত প্রবাহের প্রয়োজন হলে মস্তিষ্ক হার্টকে প্রয়োজনীয় সিগনাল বিলম্ব ঘটায়। ফলে কাংখিত শারীরিক শক্তি অনেক ক্ষেত্রে পাওয়া যায় না। তাই কর্মক্ষম, সক্ষম থাকতে আজই ধূমপান ত্যাগ করুন, সুন্দর দাম্পত্য জীবন গড়ে তুলুন।

ডা: মোড়ল নজরুল ইসলাম
চর্ম, এলার্জি ও যৌনসমস্যা বিশেষজ্ঞ
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, ফেব্রুয়ারী ২০, ২০১০

যৌবনকাল এবং যৌনতা

যৌবন কাল হলো পুরুষের যৌনতার ব্যবহারের সময়। এই সময়ে যৌনতার প্রতি পুরুষের আগ্রহ এবং আর্কষণ বেশি। ২৫ থেকে ৩০ বছর সময়কতাল হলো পুরুষের প্রকৃত যৌবন কাল। এই সময়ে পুরুষ কিংবা নারী উভয়েই যৌনতার প্রতি সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ থাকে । এই সময়ের মধ্যে বয়ঃসন্ধিপূর্ণ হয় এবং নারী পুরুষের যৌনাঙ্গ সুসংগঠিত হয়। এই সময়কার । নারী পুরুষের দৈহিক পরিবর্তন এবং এবং ব্যবহারিক পরিবর্তনগুলো হলো-

মেয়েদের মাসিক চক্র শুরু হওয়া
ছেলেদের স্বপ্নদোষ হতে থাকা
মেয়েদের যোনির ঠোঁট বড় হতে থাকা
মেয়েদের কিটোরিস আরো দৃঢ় হয়
ছেলেদের অন্ডকোষ এবং লিঙ্গ আরো দৃঢ় হয়
মেয়েদের স্তনের আকার বড় হয়
উভয়ের উচ্চতা বৃদ্ধি পায়
উভয়েরই গলার স্বরে পরিবর্তন হয়
উভয়েরই শরীরের আকার পরিবর্তিত হয় ইত্যাদি

হরমোন নিঃসরণজনিত কারণে এই সময়ে ছেলে মেয়ে উভয়েরই যৌন ইচ্ছা দেখা দিয়ে থাকে। প্রাথমিক এবং দ্বিতীয় স্তরের পরিবর্তনের পর একটি ছেলে পুরুষ এবং একটি মেয়ে নারীতে পরিপূর্ণতা লাভ করে ।

প্রাথমিক পরিবর্তন–
গলার স্বরে পরিবর্তন
বগলে চুল জন্মানো
নাভীর নিচে চুল জন্মানো
মাংসপেশি দূঢ় হাওয়া
ছেলেদের বুকে লোম জন্মানে
মাথার চুল ঘন হওয়া
স্তনের আকৃতি সুগঠিত হওয়া
উচ্চতা বৃদ্ধি

দ্বিতীয় স্তরের পরিবর্তন–
লিঙ্গ দৃঢ় হওয়া
যৌন ইচ্চার সৃষ্টি
যৌনতার প্রতি তীব্র আকর্ষণ
স্তনের স্ফীত
জুরায়ুর সুসংগঠন

সূত্রঃ প্রফেসর ডাঃ মোহাম্মদ ফিরোজ

যৌনাসনের কৌশল

যৌনমিলনের আসন নিয়ে অনেক পুরুষ এবং নারী তৃপ্ত নয়। দেখা যায় যে অনেক স্থুলকায় স্বামীর ক্ষীণকায় স্ত্রী বা দীর্ঘদেহী স্ত্রীর বেটে স্বামীর যৌনমিলনের আসন নিয়ে নানাবিধ সমস্যার সৃষ্টি হয়। এরকম আসন খুঁজে বের করা উচিত। পুরুষের উচিত যৌনমিলনের আসনের পছন্দটি নারীর উপর ছেড়ে দেওয়া। এতে করে নারীর চরমপুলক অনায়াসে চলে আসে। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখা যায় যে পুরুষ বা নারী উভয়েই কোনো একটি আসন খুব পছন্দ করে এবং এ আসনে দীর্ঘদিন যৌনমিলন করেও তারা একঘেয়ে হয়ে উঠে না। নারীর শারীরিক এবং মানসিক পরিতৃপ্তি আসে যদি যৌনসনের কৌশল ঠিক থাকে।

সূত্রঃ প্রফেসর ডাঃ মোহাম্মদ ফিরোজ

যৌনমিলনের আসন

পৃথিবীব্যাপী বিভিন্ন প্রকার যৌনাসন রয়েছে। এগুলোর ব্যাখ্যা আমরা বিভিন্ন সময়ে জেনেছি এটা বলা দরকার যে যৌনমিলনের জন্য যৌনাসন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয়। পুরুষ কিংবা নারীর যৌন আনন্দ এবং চরমপুলক নির্ভর করে পছন্দ সই যৌন আসনের উপর। যৌন আসনের বেশ কিছু আসন জনপ্রিয় নয়। তবে অনেক দম্পতি এই আসনগুলোতে যৌনমিলন করে থাকে, আসনের একঘেয়েমি কাটাতে। নারী পুরুষের দৈহিক মিলনের আসনগুলো হলো-

পুরুষ উপরে নারী নিচে।
নারী উপরে পুরুষ নিচে।
পাশাপাশি আসন।
বিরল আসন।
বসা আসন।
উল্টো আসন ইত্যাদি।

এই আসনগুলোর মধ্যে পুরুষ উপরে নারী নিচে এবং পাশপাশি আসন দুটো পৃথিবীব্যাপী জনপ্রিয়। পুরুষ উপরের আসনকে মিশনারী আসন বলা হয়। পুরুষ এই আসনে সবচেয়ে বেশি যৌন আনন্দ পেয়ে থাকে। নারীও এই মিশানারী আসনে সবচেয়ে বেশি যৌন আনন্দ লাভ করে।

সূত্রঃ প্রফেসর ডাঃ মোহাম্মদ ফিরোজ

যৌনমিলনে চরমপুলক

চরমপুলক হলো যৌনমিলনের মূল কথা । চরমপুলকের মাধ্যেমে নারী এবং পুরুষের দেহ যৌনানন্দ লাভ করে। নারীর সাথে পুরুষের দৈহিক মিলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে চরমপুলক ব্যাপাটি সংঘটিত হয়ে থাকে। চরমপুলকের আগে নারী এবং পুরুষ যৌনক্রিড়া এবং যৌনমিলনে অংশ নেয়। যৌনমিলনের একেবারে শেষ ধাপ হলো চরমপুলক। শারীরিক আনন্দের চরমপর্যায়ে উভয়ের শরীর শিথিল হয়ে আসে। এই সময় স্নায়ু চাপ একেবারে কমে যায়। চরমপুলক হলে পুরুষের বীর্যপাত হয় এবং নারীর যোনি ভিজে যায়। উভয়ের মধ্যেই চরমপুলকের পর মানসিক উৎফুল্লতা বিরাজ করে। চরমপুলক নারী এবং পুরুষের একসাথে আবার আগে পরে হতে পারে। এটি নির্ভিক করে যৌনমিলনের কৌশলের উপর। একেক দম্পতি একেক কৌশলে যৌনমিলনে রত হয়। ফলে চরমপুলকের ক্ষেত্রে ও বিভিন্নতা পরিলতি হওয়াই স্বাবাভিক।

সূত্রঃ প্রফেসর ডাঃ মোহাম্মদ ফিরোজ

যৌনতার নানা সমস্যা

যৌনতার প্রতি নারী এবং পুরুষের আকর্ষণ একেবারে প্রাকৃতিক । নারীর যৌনাতা বিষয়ে অনেকেরই ধারণা যে, নারীর যৌন উপলদ্ধি কেবলমাত্র পুরুষের সংস্পর্শে এলেই বিকশিত হয়। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ একটি ভুল ধারণা । নারী বয়ঃপ্রাপ্তির পর থেকেই যৌনতার ব্যাপারে আকাঙিত থাকে। পুরুষের যেমন একটা সুবিধা আছে যে,যৌনমিলনের হাতে খড়ি তার খুব সহজেই করতে পারে,কিন্তু নারীর ক্ষেত্রে এই ব্যাপাটি সম্ভব হয় না। অধিকাংশ নারী বিয়ের মাধ্যেমে যৌনজীবনে তথা দাম্পত্য জীবনে প্রবেশকরে এবং যৌনতার স্বাদ গ্রহণ করে। মানুষ মাত্রই যৌন জীবনের একটা প্রয়োজন রয়েছে। তবে এই যৌন জীবনের ফলস্বরূপ কেবল মাত্র প্রজননের তাগিদে যৌনতায় অংশ নেয় না। মানুষ জগতের আর দশটা প্রাণীর চাইতে আলাদা এবং উন্নত।প্রজনন ছাড়াও যৌনতার দ্বারা শারীরিক এবং মানসিক অপার আনন্দ নারীর কাম্য হয়ে উঠে। নারীর যৌন জীবনে একটি অবগুন্টিত ভাব রয়েছে। তার কারণ নারী ধীরে ধীরে উদগ্রীব হয়ে উঠে।এক্ষেত্রে নারী পুরুষের মতো অতি দ্রুত উত্তেজনায় পৌঁছে যেতে পারে না। বরং নারীর উত্তেজনা আসে ধীরে ধীরে । নারীর শরীরে প্রায় সবটুকু যৌন উদ্দীপক। পুরুষের মতো নারী শুধু যৌনাঙ্গে উত্তেজনা ধরে রাখে না। নারীর ঠোঁট, স্তন, নিতম্ব, তলপেট, স্তনবৃন্ত, উরু ইত্যাদি স্থানে চুমু , মৃদু দংশন এবং সোহাগের দ্বারা নারী উত্তেজিত হয়ে উঠে। একে যৌন ক্রীড়া বলে। যৌনক্রীড়া যৌনমিলনের আনন্দকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। বিয়ের ফলে একজন নারী যৌন জীবনে পদার্পণ করে। বিয়ে হচ্ছে একটি সমাজিক বন্ধন। একজন পুরুষ এবং একজন নারী একত্রে সহাবস্থানকে বিয়ে বলা হয় । নারী জীবনে বিয়ের প্রথম রাত একটি গুরুত্বপূর্ন ঘটনা। অনেক নারী এই রাতটিকে ভয় পায়। বিষেশ করে যারা ধর্মীয় কুসংস্কার দ্বারা আচ্ছন্ন তারা বিয়ের প্রথম রাতে নানা প্রকার অপ্রীতিকর কর্মকান্ড ঘটাতে পারে। আমাদের এই উপমহাদেশের বিয়ের সময় নানা প্রকার অনুষ্ঠানের আড়ম্বর থাকলেও বিয়ের পরবর্তী যৌন জীবনে নানা প্রকার শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই জাতীয় সমস্যাগুলো জেনেটিক বা বংশগত হতে পারে। আবার অনেক সময় এর কারণ নিতান্তই শারীরিক হয়ে থাকে। তবে যৌন জীবনে যে কোনো প্রকার সমস্যাই নারী এবং পুরুষ উভয়কেই ভাবিয়ে তুলতে পারে।

সূত্রঃ প্রফেসর ডাঃ মোহাম্মদ ফিরোজ

যৌনতার নানা সমস্যা

যৌনতার প্রতি নারী এবং পুরুষের আকর্ষণ একেবারে প্রাকৃতিক । নারীর যৌনাতা বিষয়ে অনেকেরই ধারণা যে, নারীর যৌন উপলদ্ধি কেবলমাত্র পুরুষের সংস্পর্শে এলেই বিকশিত হয়। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ একটি ভুল ধারণা । নারী বয়ঃপ্রাপ্তির পর থেকেই যৌনতার ব্যাপারে আকাঙিত থাকে। পুরুষের যেমন একটা সুবিধা আছে যে,যৌনমিলনের হাতে খড়ি তার খুব সহজেই করতে পারে,কিন্তু নারীর ক্ষেত্রে এই ব্যাপাটি সম্ভব হয় না। অধিকাংশ নারী বিয়ের মাধ্যেমে যৌনজীবনে তথা দাম্পত্য জীবনে প্রবেশকরে এবং যৌনতার স্বাদ গ্রহণ করে। মানুষ মাত্রই যৌন জীবনের একটা প্রয়োজন রয়েছে। তবে এই যৌন জীবনের ফলস্বরূপ কেবল মাত্র প্রজননের তাগিদে যৌনতায় অংশ নেয় না। মানুষ জগতের আর দশটা প্রাণীর চাইতে আলাদা এবং উন্নত।প্রজনন ছাড়াও যৌনতার দ্বারা শারীরিক এবং মানসিক অপার আনন্দ নারীর কাম্য হয়ে উঠে। নারীর যৌন জীবনে একটি অবগুন্টিত ভাব রয়েছে। তার কারণ নারী ধীরে ধীরে উদগ্রীব হয়ে উঠে।এক্ষেত্রে নারী পুরুষের মতো অতি দ্রুত উত্তেজনায় পৌঁছে যেতে পারে না। বরং নারীর উত্তেজনা আসে ধীরে ধীরে । নারীর শরীরে প্রায় সবটুকু যৌন উদ্দীপক। পুরুষের মতো নারী শুধু যৌনাঙ্গে উত্তেজনা ধরে রাখে না। নারীর ঠোঁট, স্তন, নিতম্ব, তলপেট, স্তনবৃন্ত, উরু ইত্যাদি স্থানে চুমু , মৃদু দংশন এবং সোহাগের দ্বারা নারী উত্তেজিত হয়ে উঠে। একে যৌন ক্রীড়া বলে। যৌনক্রীড়া যৌনমিলনের আনন্দকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। বিয়ের ফলে একজন নারী যৌন জীবনে পদার্পণ করে। বিয়ে হচ্ছে একটি সমাজিক বন্ধন। একজন পুরুষ এবং একজন নারী একত্রে সহাবস্থানকে বিয়ে বলা হয় । নারী জীবনে বিয়ের প্রথম রাত একটি গুরুত্বপূর্ন ঘটনা। অনেক নারী এই রাতটিকে ভয় পায়। বিষেশ করে যারা ধর্মীয় কুসংস্কার দ্বারা আচ্ছন্ন তারা বিয়ের প্রথম রাতে নানা প্রকার অপ্রীতিকর কর্মকান্ড ঘটাতে পারে। আমাদের এই উপমহাদেশের বিয়ের সময় নানা প্রকার অনুষ্ঠানের আড়ম্বর থাকলেও বিয়ের পরবর্তী যৌন জীবনে নানা প্রকার শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই জাতীয় সমস্যাগুলো জেনেটিক বা বংশগত হতে পারে। আবার অনেক সময় এর কারণ নিতান্তই শারীরিক হয়ে থাকে। তবে যৌন জীবনে যে কোনো প্রকার সমস্যাই নারী এবং পুরুষ উভয়কেই ভাবিয়ে তুলতে পারে।

সূত্রঃ প্রফেসর ডাঃ মোহাম্মদ ফিরোজ

লিউকোরিয়া

লিউকোরিয়া হচ্ছে সাদা স্রাব। নারীর যোনি থেকে ক্রমাগত সাদা তরলের ক্ষরণ হলে তাকে লিউকোরিয়া বলা হয়। আমাদের দেশে গ্রামাঞ্চলের নারীদের এই রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায় বেশি। ভারতের উত্তর প্রদেশের নারীরা এই রোগে আক্রান্ত হয় বেশি।

লিউকোরিয়ার সাধারণ কারণ-
ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ।
যোনিতে সেপ্রর ব্যবহার ।
রক্তাল্পতা এবং দীর্ঘ সময় অসুস্থ থাকা ।
ট্রিকমোনাল ইনফেকশন ।
মনিলিয়াল ইফেকশন ।
কারভিকটিজ ।

লিউকোরিয়া প্রতিরোধের কয়েকটি উপায়-
সুতির প্যান্টি ব্যবহার করা ।
যৌনতায় পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ।
যৌনমিলনের আগে এবং পরে যৌনাঙ্গ ধৌত করা ।
যোনির পিচ্ছিলতা বাড়াতে কেওয়াই জেলি ব্যবহার ।
যোনিতে কোনো প্রকার সেপ্র ব্যবহার না করা ।
জন্ম নিরোধক পিল সেবনের পূর্বে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সর্ম্পকে জেনে নেয়া ।
সুষম খাদ্য গ্রহণ ।

সূত্রঃ প্রফেসর ডাঃ মোহাম্মদ ফিরোজ

মাসিক নিয়মিতকরণ বা এম.আর

বর্তমানে প্রজনন স্বাস্থ্য সেবার অতি পরিচিত একটি শব্দ এম. আর (Menstrual Regulation) বা মাসিক নিয়মিতকরণ। এটি একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে জরায়ুর অভ্যন্তরীন পরিবেশ বিঘ্নিত হয়, ফলে জরায়ুতে ভ্রুন স্থাপিত হতে পারে না বা হতে দেয়া হয় না।

এম.আর কেন করা হয়

অনিয়মিত রক্তস্রাব/মাসিকের জন্য এম. আর একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যা অন্য কোন শারীরিক অসুস্থতার জন্যও করা হয়।

শল্য চিকিৎসায় এম.আর

শল্যচিকিৎসায় এম. আর একটি সহজ ও নিরাপদ পদ্ধতি। একটি নমনীয় প্লাস্টিকের নল এবং সিরিঞ্জের সাহায্যে এম. আর সম্পাদন করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় সাধারণত: রোগীকে অজ্ঞান করার প্রয়োজন হয় না।

এম.আর করার উপযুক্ত সময়

নির্ধারিত মাসিক হওয়ার সময়ের ১৪ দিনের মধ্যে যে কোন সময় এম. আর করা যেতে পারে। সবচেয়ে ভালো সময় হচ্ছে শেষ মাসিক হওয়ার প্রথম দিন থেকে হিসাব করে ৩৫ দিনের পরে এবং ৪৫ দিনের পূর্বে। সবচেয়ে নিরাপদ সময় হচ্ছে ৪২তম থেকে ৪৯তম দিনের মধ্যে।

এম.আর করার পূর্বে প্রয়োজনীয় তথ্য

সাবধানতার সাথে রোগীর ইতিহাস জানা, বিশেষ করে মাসিকের নিয়মানুবর্তিতা সম্পর্কে, যৌন সম্পর্কের বিষয়ে, সহবাসের সময় সম্পর্কে
গর্ভধারণে ব্যর্থতার সম্ভাবনা, কোন কারণে দুঃশ্চিন্তা বা মানসিক চাপ যা অনেক সময় মাসিক না হওয়ার কারণ হতে পারে অথবা যদি গর্ভধারণ করে থাকেন তবে সন্তান গ্রহণ না করার কারণ সমূহ ইত্যাদি
এম.আর সম্পাদনের পূর্বে নারীকে এম.আর এর ঝুঁকি ও জটিলতা সম্পর্কে অবহিত করা জরুরী
প্রয়োজনে গর্ভধারণ না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য আরেকবার নারীকে (pregnancy test) পরীক্ষা করা উচিত

কারা এম.আর সম্পাদন করতে পারেন

স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ
চিকিৎসক
নার্স এবং
প্যারামেডিক নিরাপদ এবং কার্যকর এম. আর সম্পাদন করতে পারেন

এম.আর বা মাসিক নিয়মিতকরণ সেবা কেন্দ্রসমূহ

জেলা হাসপাতাল
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র
ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র

সচরাচর জিজ্ঞাসা

প্রশ্ন.১.এম.আর কেন করা হয়?

উত্তর. বিলম্ব অথবা অনিয়মিত রক্তস্রাব বা মাসিকের এম. আর একটি চিকিৎসা পদ্ধতি বা গর্ভধারণ বা অন্য কোন শারীরিক অসুস্থতার জন্য করা হয়।

প্রশ্ন.২.এম.আর করার উপযুক্ত সময় কখন?

উত্তর. নির্ধারিত মাসিক হওয়ার সময়ের ১৪ দিনের মধ্যে যে কোন সময় এম. আর করা যেতে পারে। সবচেয়ে ভালো সময় হচ্ছে শেষ মাসিক হওয়ার প্রথম দিন থেকে হিসাব করে ৩৫ দিনের পরে এবং ৪৫ দিনের পূর্বে। সবচেয়ে নিরাপদ সময় হচ্ছে ৪২তম থেকে ৪৯তম দিনের মধ্যে।

প্রশ্ন.৩.কারা এম.আর করতে পারেন?

উত্তর.

স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ
চিকিৎসক
নার্স এবং
প্যারামেডিক নিরাপদ এবং কার্যকর এম. আর সম্পাদন করতে পারেন

সূত্র: জাতীয় ই-তথ্যকোষ

উর্বর সময় (ফারটাইল পিরিওড) ও নিরাপদ সময় (সেফ পিরিওড)

মাসিক ঋতুচক্রের মাঝামাঝি (অর্থাৎ ১৪ দিনের মাথায়) লুটিনাইজিং হরমোন (LH) ক্ষরণের ৩৬-৩৮ ঘন্টার মধ্যে ডিম্বকোষ (Ovum) নির্গত হয়। এই বেরুনর পর ডিম্বকোষ যদি ৩৬ ঘন্টার মধ্যে উপযুক্ত সংখ্যক শুক্রকোষ পায় তবে তার একটির সাথে মিলিত হয়ে সন্তান দিতে পারে। তবে ডিম্বকোষটি জীবিত থাকে আরো প্রায় ৩৬ ঘন্টা অর্থাৎ ডিম্বকোষের আয়ু সর্বমোট ৭২ ঘন্টা বা তিনদিন। অন্যদিকে যৌনমিলনের পর জরায়ু তথা ডিম্বনালীতে প্রবেশের পর শুক্রকোষও (spermatorza) জীবিত থাকতে পারে সর্বাধিক ৭২ ঘন্টা। তাই ২৮ দিনের মাসিক ঋতুচক্রের মাঝামাঝি মোট প্রায় ১২০ ঘন্টা (৫দিন) হচ্ছে উর্বর সময়,–এই সময় যৌনমিলন হলে সন্তানের জন্ম হতে পারে। মোটামুটি মাসিকের ১৪ দিনের মাথায় ডিম্বকোষ হচ্ছে ধরে নিয়ে তার ২-৩ দিন আগে ও ২-৩ দিন পরে হচ্ছে এই উর্বর সময়।

তবে যারা সন্তান নিতে চান না, তাদের এটিও জেনে রাখা দরকার যে, এই ডিম্বকোষের নির্গমনের (ovalution) দিনটি প্রচণ্ড পালটায়। তাই এর সঙ্গে আগে ও পরে আরো দু’একদিন যোগ করা ভাল।

তবু মাসিক ঋতুচক্রের ৯ম দিনের আগের ও ২০শ দিনের পরেকার সময়কে মোটামুটি নিরাপদ সময় বলে ধরা যায়। এই সময় যৌনমিলন ঘটলে তার থেকে সন্তান ধারণের তথা গর্ভবতী হওয়ার সম্বাবনা থাকে না, কারণ এই সময় ডিম্বকোষ বেরোয়ই না।

কিন্তু বিরল হলেও এটিও দেখা গেছে যে, মাসিক চক্রের যে কোনওদিন (তথাকথিত ঐ নিরাপদ সময়ের দিনগুলিসহ) মাত্র একবারের যৌনমিলনেও নারী গর্ভবতী হতে পারে অর্থাৎ বিরল ক্ষেত্রের মাসিক চক্রের যে কোন সময়ই ডিম্বকোষ বেরুতে পারে। তাই এই হিসাবে তথাকথিত নিরাপদ সময় বলে কিছু নেই। তবে এটি নেহাৎই ব্যতিক্রম।

সাধারণভাবে ৯ম দিনের আগে ও ২০শ দিনের পরের সময়টি নিরাপদ সময় এবং ৯ম-২০শ দিনের মধ্যকার সময়টিকে উর্বর সময় হিসাবে ধরা যায়, আর এর মধ্যেও দ্বাদশ থেকে ষোড়শ (মতান্তরে ১৩ম থেকে ১৭ম) দিনটি উর্বরতম সময়।

সূত্র: বিজ্ঞানের আলোয় সংস্কারমুক্ত যৌনতা – ডাঃ ভবানীপ্রসাদ সাহু

মেয়েদের ঋতুচক্র বা মাসিক

প্রতি চন্দ্রমাস পরপর হরমোনের প্রভাবে পরিণত মেয়েদের জরায়ু চক্রাকারে যে পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যায় এবং রক্ত ও জরায়ু নিঃসৃত অংশ যোনিপথে বের হয়ে আসে তাকেই ঋতুচক্র বলে।

এর তিনটি অংশ, ১মটি চারদিন স্থায়ী হয় (৪-৭ দিন) এবং একে মিনস্ট্রাল ফেজ, ২য়টি ১০দিন (৮-১০ দিন) একে প্রলিফারেটিভ ফেজ এবং ৩য়টি ১৪ দিন (১০-১৪ দিন) স্থায়ী হয় একে সেক্রেটরি ফেজ বলা হয়।

মিনস্ট্রাল ফেজ এই যোনি পথে রক্ত বের হয়। ৪-৭ দিন স্থায়ী এই রক্তপাতে ভেঙ্গে যাওয়া রক্তকনিকা ছাড়াও এর সাথে শ্বেত কনিকা, জরায়ুমুখের মিউকাস, জরায়ুর নিঃসৃত আবরনি, ব্যাকটেরিয়া, প্লাজমিন, প্রস্টাগ্লানডিন এবং অনিষিক্ত ডিম্বানু থেকে থাকে। ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন হরমোনের যৌথ ক্রিয়ার এই পর্বটি ঘটে।

প্রলিফারেটিভ ফেজ ৮-১০ দিন স্থায়ী হতে পারে। শুধু ইস্ট্রোজেন হরমোনের প্রভাবে এটি হয়। এই সময় জরায়ু নিষিক্ত ডিম্বানুকে গ্রহন করার জন্য প্রস্ততি নেয়।

সেক্রেটরি ফেজ টা সবচেয়ে দীর্ঘ, প্রায় ১০ থেকে ১৪ দিন। একে প্রজেস্টেরন বা লুটিয়াল ফেজ ও বলা হয়। এটিও ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন উভয় হরমোনের যৌথ কারনে হয়। এই সময় নিষিক্ত ডিম্বানুর বৃদ্ধির জন্য জরায়ু সর্বোচ্চ প্রস্ততি নিয়ে থাকে।

ডিম্বাশয়ের কোনো ডিম্বানু শুক্রানু দ্বারা নিষিক্ত না হলে জরায়ু আবার মিনস্ট্রাল ফেজে চলে যায়। এভাবেই পূর্ন বয়স্ক মেয়েদের ঋতুচক্র চলতে থাকে।

মাসিকের সময় তলপেটে ব্যথা – কী করণীয়?

মাসিকের সময় তলপেটে ব্যথা আমাদের দেশে একটা কমন ব্যাপার। কিন্তু একটু সচেতন হলেই এই ব্যথা এড়িয়ে চলা যায়।

কোন বোতলে গরম পানি ভরে বা কাপড় গরম করে তলপেটে ২০/২৫ মিনিট ছ্যাক লাগাতে হবে। এটা সপ্তাহে টানা ৩/৪ দিন করে করতে হবে। এতে ধীরে ধীরে মাসিকের সময় ব্যাথা কমে যাবে।

এছাড়া আরেকটা পদ্ধতি আছে- সিজ বাথ। ৩ মিনিট গরম পানিতে কোমর ডুবিয়ে বসে থাকতে হবে। পরের ২/১ মিনিট ঠাণ্ডা পানিতে। এভাবে ২০/২৫ মিনিট সিজ বাথ নিতে হবে। এটাও সপ্তাহে টানা ৩/৪দিন নিতে হবে। শুধু পানি বা পানিতে কিছু লবন, বেকিং সোডা বা ভিনেগারও ব্যবহার করা যায়।

আরেকটা পদ্ধতি আছে- কেজেল ব্যায়াম। এটাও খুব উপকারী।

এগুলো করলে যোনি মধ্যে রক্ত চলাচল প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত না হয়ে আবার ঠিকঠাক হয়ে যাবে, ব্যাথাও কমে যাবে।

আমাদের দেশের অনেক মেয়েদেরই শারীরিক ফিটনেস ভালো নয় বলে এরকম সমস্যা বেশি হয়। একে একে এই পদ্ধতিগুলোর কথা সবাইকে বলে দিন। একজন আরেকজনকে বলে দিন। এই অবাঞ্চিত সমস্যা থেকে মুক্ত থাকুক আমাদের নারী সমাজ।

মাসিকের সময় তলপেটে ব্যথা আমাদের দেশে একটা কমন ব্যাপার। কিন্তু একটু সচেতন হলেই এই ব্যথা এড়িয়ে চলা যায়।
কোন বোতলে গরম পানি ভরে বা কাপড় গরম করে তলপেটে ২০/২৫ মিনিট ছ্যাক লাগাতে হবে। এটা সপ্তাহে টানা ৩/৪ দিন করে করতে হবে। এতে ধীরে ধীরে মাসিকের সময় ব্যাথা কমে যাবে।
এছাড়া আরেকটা পদ্ধতি আছে- সিজ বাথ। ৩ মিনিট গরম পানিতে কোমর ডুবিয়ে বসে থাকতে হবে। পরের ২/১ মিনিট ঠাণ্ডা পানিতে। এভাবে ২০/২৫ মিনিট সিজ বাথ নিতে হবে। এটাও সপ্তাহে টানা ৩/৪দিন নিতে হবে। শুধু পানি বা পানিতে কিছু লবন, বেকিং সোডা বা ভিনেগারও ব্যবহার করা যায়।
আরেকটা পদ্ধতি আছে- কেজেল ব্যায়াম। এটাও খুব উপকারী।
এগুলো করলে যোনি মধ্যে রক্ত চলাচল প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত না হয়ে আবার ঠিকঠাক হয়ে যাবে, ব্যাথাও কমে যাবে।
আমাদের দেশের অনেক মেয়েদেরই শারীরিক ফিটনেস ভালো নয় বলে এরকম সমস্যা বেশি হয়। একে একে এই পদ্ধতিগুলোর কথা সবাইকে বলে দিন। একজন আরেকজনকে বলে দিন। এই অবাঞ্চিত সমস্যা থেকে মুক্ত থাকুক আমাদের নারী সমাজ।
- See more at: http://www.ebanglahealth.com/?p=4024#sthash.bFXcQ4ld.dpuf

হস্তমৈথুন ছাড়ার উপায় কী?

নিয়মিত হস্তমৈথুন শরীরের জন্য ভালো। তবে এটা খুব বেশি করলে এবং সেই অনুপাতে শরীরের যত্ন না নিলে শারীরিক ও মানসিক ভাবে ক্লান্তি আসতে পারে। এটা যাতে নেশায় পরিনত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যাদের কাছে এটা নেশার মত মনে হয়, এবং মনে প্রাণে কমিয়ে দিতে চাইছেন, তাদের জন্য কিছু ব্যবস্থা করণীয় হতে পারে-
১. প্রথমেই মনে রাখতে হবে, হস্তমৈথুন বা স্বমেহন কোন পাপ বা অপরাধ নয়। এটা প্রাণীদের একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এটা করে ফেলে কোন প্রকার অনুশোচনা, পাপ, বা অপরাধবোধে ভুগবেন না। এমন হলে ব্যাপারটা সব সময় মাথার মধ্যে ঘুরবে এবং এ থেকে মুক্তি পেতে আবার এটা করে শরীর অবশ করে ফেলতে ইচ্ছে হবে।
মনে রাখবেন আপনি মানুষ। আর মানুষ মাত্রই ভুল করে। এটা করে ফেলার পর যদি মনে করেন ভুল হয়ে গেছে তো সেজন্য অনুশোচনা করবেন না। নিজেকে শাস্তি দেবেন না। বরং দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হোন যাতে ভবিষ্যতে মন শক্ত রাখতে পারেন।
২. যেসব ব্যাপার আপনাকে হস্তমৈথুনের দিকে ধাবিত করে, সেগুলো ছুড়ে ফেলুন, সেগুলো থেকে দূরে থাকুন।
যদি মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন থেকে সত্যি সত্য মুক্তি পেতে চান তাহলে পর্ণ মুভি বা চটির কালেকশন থাকলে সেগুলো এক্ষুনি নষ্ট করে ফেলুন। পুড়িয়ে বা ছিড়ে ফেলুন। হার্ডড্রাইব বা মেমরি থেকে এক্ষুনি ডিলিট করে দিন। ইন্টারনেট ব্যবহারের আগে ব্রাউজারে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল-এ গিয়ে এডাল্ট কন্টেন্ট ব্লক করে দিন।
কোন সেক্স টয় থাকলে এক্ষুনি গার্বেজ করে দিন।
কোন কোন সময় হস্তমৈথুন বেশি করেন, সেই সময়গুলো চিহ্নিত করুন। বাথরুম বা ঘুমাতে যাওয়ার আগে যদি উত্তেজিত থাকেন, বা হঠাত কোন সময়ে যদি এমন ইচ্ছে হয়, তাহলে সাথে সাথে কোন শারীরিক পরিশ্রমের কাজে লাগে যান। যেমন বুকডন বা অন্য কোন ব্যায়াম করতে পারেন। যতক্ষণ না শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়, অর্থাৎ হস্তমৈথুন করার মত আর শক্তি না থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত সেই কাজ বা ব্যায়াম করুন। গোসল করার সময় এমন ইচ্ছে জাগলে শুধু ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করুন এবং দ্রুত গোসল ছেড়ে বাথরুম থেকে বের হয়ে আসুন।
অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। সব সময় কোন না কোন কাজে ব্যস্ত থাকুন। আগে থেকে সারাদিনের শিডিউল ঠিক করে রাখুন। তারপর একের পর এক কাজ করে যান। হস্তমৈথুনের চিন্তা মাথায় আসবে না।
যারা একা একা সময় বেশি কাটায়, যাদের বন্ধুবান্ধব কম, দেখা গেছে তারাই ঘনঘন হস্তমৈথুন বেশি করে। একা একা না থেকে বন্ধুবান্ধবদের সাথে সময় কাটান। একা একা টিভি না দেখে বন্ধুদের সাথে কিছু করুন। বন্ধুবান্ধব না থাকলে ঘরে বসে না থেকে পাবলিক প্লেসে বেশি সময় কাটান।
৩. বসে না থেকে সময়টা কাজে লাগান। জীবনকে সৃষ্টিশীল কর্মকাণ্ড দিয়ে ভরিয়ে তুলুন। সব সময় নতুন কিছু করার দিকে ঝোঁক থাকলে হস্তমৈথুনের ব্যাপারটা মাথা থেকে দূর হয়ে যাবে। এই সাথে আরো সব বাজে জিনিসগুলোও জীবন থেকে হারিয়ে যাবে। নতুন ভাবে জীবনকে উপলব্ধি করতে পারবেন, বেঁচে থাকার নতুন মানে খুঁজে পাবেন।
সৃষ্টিশীল কাজে জড়িয়ে পড়ুন। লেখালেখি করতে পারেন, গান-বাজনা শিখতে পারেন, আঁকাআঁকি করতে পারেন, অথবা আপনি যা পারেন সেটাই করবেন।
নিয়মিত খেলাধূলা করুন। ব্যায়াম করুন। এতে মনে শৃঙ্খলাবোধের সৃষ্টি হবে। নিয়মিত হাঁটতে পারেন, দৌড়াতে পারেন, সাঁতার কাটতে পারেন, জিমে গিয়া ব্যায়াম করতে পারেন। বিকেলে ফুটবল, ক্রিকেট- যা ইচ্ছে, কিছু একটা করুন।
স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার খাবেন। ফলমূল-শাকসবজি বেশি খাবেন।
নতুন কোন শখ বা হবি নিয়ে মেতে উঠুন। বাগান করতে পারেন, নিজের রান্না নিজে করতে পারেন, আরো কত কিছু আছে করার। আপনি যা করতে বেশি পছন্দ করেন, সেটাই করবেন। কিছুদিন পর আবার আরো নতুন কিছু করতে বা জানতে চেষ্টা করুন।
অফুরন্ত সময় থাকলে সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ুন। দেশ ও দশের জন্য সেবামূলক কাজে জড়িত হোন।
৪. ধৈর্য ধরতে হবে। একদিনের একটা নেশা থেকে মুক্ত পাবেন, এমন হবে না। একাগ্রতা থাকলে ধীরে ধীরে যে কোন নেশা থেকেই বের হয়ে আসা যায়। মাঝে মাঝে ভুল হয়ে যাবে। তখন হতাশ হয়ে সব ছেড়ে দেবেন না। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আবার আগাতে হবে।
ভালো কাজ করলে নিজেকে নিজে নিজে পুরস্কৃত করবেন। ভালো কোন জায়গাত ঘুরতে যাবেন। ভালো কোন রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেয়ে আসবেন। নিজেকে ছোট ছোট গিফট কিনে দেবেন এবং সেগুলো চোখের সামনে রাখবেন এবং মনে করবেন যে অমুক ভালো কাজের জন্য এই জিনিসটা পেয়েছিলেন।
৫. অপরের সাহায্য নিতে ভুল করবেন না। রাতের বেলা হস্তমৈথুন করলে কারো সাথে রুম শেয়ার করুন। বা দরজা জানালা খোলা রেখে আলো জ্বালিয়ে ঘুমান। যখন দেখবেন যে সব চেষ্টা করেও একা একা সফল হতে পারছেন না, তখন বন্ধুবান্ধব, পরিবার, ডাক্তার- এদের সাহায্য নেয়া যায়। এখানে লজ্জার কিছু নাই।
###########
কিছু টিপস:
১. ঘুমে সমস্যা হলে তখন সুগার ফ্রি মিন্টস্‌ বা ক্যাণ্ডি চিবাতে পারেন। হালকা কিছু খেলেও তখন উপকার হয়। তবে ঘুমিয়ে পড়ার আগে দাঁত ব্রাশ করে নেবেন।
২. কম্পিউটারে পর্ণ ব্লকিং সফটওয়ার ইনস্টল করে নিন। আজব একটা পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখেন যাতে পরে ভুল যান। অথবা কোন বন্ধুকে দিয়ে পাসওয়ার্ড দিন। নিজে মনে রাখবেন না।
৩. কম্পিউটারে পর্ণ দেখতে দেখতে হস্তমৈথুন করলে কম্পিউটার লিভিং রুমে নিয়ে নিন যাতে অন্যরাও দেখতে পায় আপনি কী করছেন। এতে পর্ণ সাইটে ঢোকার ইচ্ছে কমে যাবে।
৪. হস্তমৈথুন একেবারেই ছেড়ে দিতে হবে না। নিজেকে বোঝাবেন যে মাঝে মাঝে করবেন। ঘনঘন নয়।
৫. যারা বাজে বিষয় নিয়ে বা মেয়েদের নিয়ে বা পর্ণ মুভি বা চটি নিয়ে বেশি আলোচনা করে, তাদেরকে এড়িয়ে চলুন।
৬. যখন দেখবেন খুব বেশি হস্তমৈথুন করতে ইচ্ছে হচ্ছে এবং নিজেকে সামলাতে পারছেন না, বাইরে বের হয়ে জোরে জোরে হাঁটুন বা জগিং করুন।
৭. সন্ধ্যার সময়ই ঘুমিয়ে পড়বেন না। কিছু করার না থাকলে মুভি দেখুন বা বই পড়ুন।
৮. ভিডিও গেম খেলতে পারেন। এটাও হস্তমৈথুনের কথা ভুলিয়ে দেবে।
৯. হস্তমৈথুনে চরম ভাবে এডিক্টেড হলে কখনোই একা থাকবেন না, ঘরে সময় কম কাটাবেন, বাইরে বেশি সময় কাটাবেন। জগিং করতে পারেন, সাইকেল নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন। ছাত্র হলে ক্লাসমেটদের সাথে একসাথে পড়াশুনা করতে পারেন। লাইব্রেরি বা কফি শপে গিয়ে সময় কাটাতে পারেন।
১০. সেক্সুয়াল ব্যাপারগুলো একেবারেই এড়িয়ে চলবেন। এধরনের কোন শব্দ বা মন্তব্য শুনবেন না।
১১. ছোট ছোট টার্গেট সেট করুন। ধরুন প্রথম টার্গেট টানা দুইদিন হস্তমৈথুন করবেন না। দুইদিন না করে পারলে ধীরে ধীরে সময় বাড়াবেন।
১২. যখন তখন বিছানায় যাবেন না। কোথাও বসলে অন্যদের সঙ্গ নিয়ে বসুন।
১৩. বাথরুম শাওয়ার নেয়ার সময় হস্তমৈথুনের অভ্যাস থাকলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাথরুম থেকে বের হয়ে আসতে চেষ্টা করুন।
১৪. যখনি মনে সেক্সুয়াল চিন্তার উদয় হবে, তখনই অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করবেন।
১৫. মেয়েদের দিকে কুনজরে তাকাবেন না। তাদের ব্যাপারে বা দেখলে মন আর দৃষ্টি পবিত্র করে তাকাবেন। নিজের মা বা বোন মনে করবেন।
১৬. হাতের কব্জিতে একটা রাবারের ব্যান্ড লাগিয়ে নেবেন। সেক্সুয়াল চিন্তার উদয় হলে তুড়ি বাজাতে পারেন, পা দোলাতে পারেন- এতে কুচিন্তা দূর হয়ে যাবে।
১৭. যতটা সম্ভব নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।
১৮. যে কোন উপায়ে পর্ণমুভি আর চটি এড়িয়ে চলুন।
১৯. বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সবার সাথে বেশি সময় কাটান।
২০. ধ্যান বা মেডিটেশন করতে পারেন। যোগ ব্যায়াম করতে পারেন।
২১. নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করবেন, আপনার সাথে যারা আছে তাদের কথা ভাববেন।
২২. বাড়িতে বা রুমে কখনো একা থাকবেন না।
২৩. কোনদিন করেন নাই, এমন নতুন কিছু করার চেষ্টা করুন।
২৪. উপুর হয়ে ঘুমাবেন না।
২৫. বিকেলের পরে উত্তেজক ও গুরুপাক খাবার খাবেন না।
২৬. গার্লফ্রেণ্ড বা প্রেমিকাদের সাথে শুয়ে শুয়ে, নির্জনে বসে প্রেমালাম করবেন না।
২৭. ফোনসেক্স এড়িয়ে চলুন।